রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, গড়বেতার CPI(M) নেতার বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ

August 8, 2024 | 2 min read

বিতর্কে জড়ালেন কঙ্কালকান্ডে অভিযুক্ত দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিতর্কে জড়ালেন কঙ্কালকান্ডে অভিযুক্ত দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। বামফ্রন্ট সরকারের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রীর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক মহিলাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেছেন। নির্যাতিতা সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, স্থানীয় থানায় নির্যাতিতা অভিযোগ করলে পদক্ষেপ করা হবে।

এ ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এখনও জেলা সম্পাদকের পদে আছেন। সুশান্ত ঘোষ জেলা সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব সুশান্ত ঘোষকে ভর্ৎসনা করেছে। সুশান্ত ঘোষ ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ২৯ বছর গড়বেতা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। পরে মন্ত্রীও হন। কঙ্কালকাণ্ডে তাঁর জেল হয়। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দেয়।

জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি মেদিনীপুরে। তিনি সেচ দপ্তরে চাকরি করেন। মহিলার অভিযোগ, ২০০৬ সালে তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ তাঁর জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলে একদিন তাঁকে বাড়িতে ডাকেন। বাড়িতেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। বারবার ডেকে সহবাসে লিপ্ত হতেন বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার। বিয়ে হলেও প্রাক্তন মন্ত্রী সম্পর্ক রেখে চলেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে নির্যাতিতার সম্পর্ক ভেঙে যায়। তিনি অভিযোগ করছেন, একাধিক মহিলার সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সুশান্ত ঘোষের শাস্তি চান। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন।

সূত্রের খবর, অভিযোগ অনুসন্ধান করতে একমাস আগেই সিপিএম তদন্ত কমিটি গড়ে তোলো। কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি ঘুরে এসেছেন। রাজ্যের নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট জমাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, সিপিএমের কাছে এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর তথ্য রয়েছে। কিন্তু দলের একাংশ সুশান্ত ঘোষকে বাঁচাতে গোটা ঘটনা চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Cpim, #politics, #Susanta Ghosh

আরো দেখুন