দিনের পর দিন একই তেলে রান্না! বিরিয়ানি-চাঁপ-কাবাবে বিষ খাচ্ছেন না তো?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিনের পর দিন একই তেলে রান্না হচ্ছে, কোথাও আবার খাবারে দেদার বিষ রং ব্যবহার করা হচ্ছে!দুগ্ধজাত খাবারও রেহাই পাচ্ছে না। ভাত-ডাল থেকে বিরিয়ানি, মাংসের চাঁপ হোক বা কাবাব সবেতেই মিশছে ভেজাল। রান্নার সময় ব্যাপক অনিয়ম করছে দোকান-রেস্তরাঁরা। অভিযান চালিয়ে অনিয়ম হাতেনাতে করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার খাদ্যবিভাগ।
উৎসব মরশুমে হোটেল বা রেস্তরাঁগুলি পাকশালা যাচাই করতে আচমকা বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় খাদ্যসুরক্ষা বিভাগ। দোকান থেকে একাধিক খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। সে খাদ্য পরীক্ষা করে অনিয়ম সামনে এসেছে। একাধিক দোকান অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার তৈরি করে। দোকানদারদের সতর্ক করা হয়। সচেতনামূলক প্রচারও করা হচ্ছে।
সোনারপুর, ঠাকুরপুকুর-মহেশতলা, বজবজ ইত্যাদি অঞ্চলে রাস্তার ধারের দোকান থেকে শুরু করে রেস্তরাঁ, অধিকাংশই নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভোজ্য তেল নিয়ে একাধিক দোকান নিয়ম মানেনি। রান্না হয়েছে পোড়া তেল ব্যবহার করে। অর্থাৎ, রান্নার আগে কড়াইয়ে যে ভোজ্য তেল ঢালা হয়েছে তা না পাল্টে বারবার ব্যবহার করে গিয়েছে দোকানগুলি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তিনবারের বেশি একই তেলে রান্না করা উচিত নয়। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, নিদেনপক্ষে পাঁচবার বা তার থেকেও বেশিবার রান্না হয়েছে একই তেলে।
ঝুলিয়ে রাখা কাবাব, চিকেন তন্দুরি ইত্যাদি থেকেও নমুনা নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। খাবারগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে সিনথেটিক কালার মেশানো হয়েছে বলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে। এই রং মানব শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের। বেশ কিছু খাবারের দোকানের রান্নাঘরও পরীক্ষা করে দেখেছেন আধিকারিকরা। নিয়মানুযায়ী মাথায় হেড ক্যাপ পরে রান্না বা আনুষাঙ্গিক কাজ করতে হয় কর্মীদের। যাতে মাথার চুল খাবারে না যায়। খাদ্যে চুল গেলে বিষাক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু হেড ক্যাপ বা অন্যান্য নিয়ম মানা হয়নি রান্নাঘরে বলেও জানা গিয়েছে।