রকমারি আলোর রোশনাইতে ঘর সাজাতে ক্রেতাদের ভিড় চাঁদনি মার্কেটে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দীপাবলি মানেই লক্ষ্মীর আরাধনা, মিষ্টিমুখ সঙ্গে আলো আর বাতির রোশনাই। ইতিমধ্যেই টুনি লাইটের আলোয় সেজে উঠেছে শহর। শহরের অলিগলিতে ফ্ল্যাট হোক কিংবা বাড়ি— কোথাও টুনির রোশনাই, কোথাও আবার এলইডির বাড়বাড়ন্ত।
কলকাতার চাঁদনি মার্কেটে বাহারি আলো কেনার ধুম পড়েছে গত দু-একদিন ধরেই। বৃহস্পতিবারও মেঘলা আবহাওয়া উপেক্ষা করে উপছে পড়া ভিড়। জোরদার দরদাম চলছে। তার সঙ্গে কেনাকাটা। এ বছর ‘ঝালর’, ‘ঝিনুক’ আর ‘মৌমাছি’ আলোর চাহিদা বেশি। তার সঙ্গে ‘জলে ফেললেই জ্বলবে’ এমন ম্যাজিক প্রদীপেরও দেদার বিক্রি।
ঠিক যেমন সমুদ্রের তীরে ছড়িয়ে থাকে ঝিনুক। তেমন অবিকল দেখতে ঝিনুক এখন ছড়িয়ে রয়েছে চাঁদনির দোকানে দোকানে। তাদের পেটে রংবেরঙের মুক্তোর মতো জ্বলছে হলুদ-লাল আলো। দীপাবলির রাতে এমন একখানা জ্বলন্ত ঝিনুক দিয়ে বাড়ি সাজালে দেখে কে? তাই কিনে কূল পাচ্ছে না উত্সুক বাঙালি। আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে এসেছিলেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। বললেন, ‘কালীপুজোর আগে প্রতিবারই আসি, এখানে অনেক কম দামে নতুন ধরনের আলো পাওয়া যায় তো তাই। এবার যেমন ঝিনুক আলো পেলাম। ৮০ টাকা দাম বলল। কিনলাম। দারুণ জিনিস।’
ঝিনুকের পরই ক্রেতাদের চোখ টানছে মৌমাছি আলো। মৌমাছির মতো দেখতে ছোট ছোট সব আলো। সেগুলি দেখে বাচ্চারা খুব লাফাচ্ছে। ‘ওই দেখো মা, বি লাইট।’ বলেই ঝাঁপিয়ে পড়ল শরণ্যা। মেয়ের খুব পছন্দ এই ‘বি লাইট’। ফলে তা না কিনে উপায় নেই। কিনলেন মা। ঝালর আলোতেও এ বছর বাজার ছেয়েছে। ছোট আকারের গোলাকার দেখতে তা। একটির দাম ১০০ টাকা। আর পাঁচটার সেট কিনলে ৩৫০ টাকা। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘এ বছর এখনও পর্যন্ত বিক্রি ভালোই হচ্ছে। মাঝখানে ঝড়ের জন্য হয়ত একটু ঘাটতি হবে। কিন্তু সবমিলিয়ে ব্যবসা খারাপ নয়।’ নতুন আলোর সঙ্গে পুরনো টুনি লাইটের চাহিদাও রয়েছে। ৬০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে সেই আলোর দাম। শেষ হাজার টাকায়। গত বছর উঠেছিল হ্যারিকেন, বাবল লাইট। এ বছরও সেগুলির চাহিদা রয়েছে।