রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মেদিনীপুর উপনির্বাচনে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল, পিছিয়ে রইল পদ্ম শিবির

November 11, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উপনির্বাচনের আগে শেষ রবিবার৷ রকমারি প্রচারে সামিল চার দলের প্রার্থী৷ কেউ হুডখোলা জিপ থেকে ভোট চাইলেন, তো কেউ টোটো বা অটো করে। কেউ বা পায়ে হেঁটে আবার কেউ ধান কেটে প্রচার সারলেন উপনির্বাচনের৷ শেষ পর্বে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।

মেদিনীপুরে উপনির্বাচনে এবার তৃণমূল থেকে দাঁড়িয়েছেন জেলা সভাপতি তথা পরিচিত মুখ সুজয় হাজরা। একাধিক শিক্ষাগত ডিগ্রি এবং বহুদিন থেকে দলের এলাকাভিত্তিক ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা নেতার হাতের তালুর মতো চেনা মেদিনীপুর৷ কখনও টোটোয় তো আবার কখনও স্কুটিতে বা হুডখোলা জিপে করে নিজের বিধানসভা এলাকায় প্রচার সারছেন তিনি৷

বলতে গেলে শেষ বেলায় প্রচারে ঝড় তোল তৃণমূল। শেষলগ্নেও প্রচারে পিছিয়ে রইল পদ্ম শিবির। মূলত গ্রামীণ এলাকায় সেভাবে প্রচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। তবে সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকলেও মেদিনীপুর উপ নির্বাচনে শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিআই প্রার্থী। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভার উপ নির্বাচনে শুধু গ্রামীণ এলাকায় ভোট বেশি। শাসক, বিরোধী উভয় পক্ষ সেই ভোট নিজেদের ঝুলিতে ভরতে মরিয়া। বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, গ্রামীণ এলাকায় টাকা খরচ করে রাস্তার পতাকা লাগিয়েই খালাস উচ্চ নেতৃত্ব। বুথ স্তরে সেভাবে কোনও বৈঠক হয়নি। প্রার্থী না যাওয়ায় প্রচারও হয়নি।

এদিন সকাল থেকেই স্কুটি চালিয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। শালবনী ব্লকের কর্ণগড় সহ একাধিক এলাকায় যান প্রার্থী। প্রতিটি এলাকায় ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে মহিলা কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিকেলে পুর এলাকায় প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী। পরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে চা চক্রে শামিল হন সুজয়বাবু। এদিন শালবনী ব্লকের গবরু এলাকায় প্রচারে সুজয় হাজরা বলেন, প্রচারে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। আট থেকে আশি, মহিলা থেকে পুরুষ সকলেই খুব আপন করে নিচ্ছেন। উপ নির্বাচনে মানুষ উন্নয়ন দেখে ভোট দেবেন।
অপরদিকে, শেষলগ্নে শালবনী ব্লকের কাশিজোড়া, বাঁকিবাঁধ সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়। কখনও হুড খোলা গাড়িতে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে প্রচার করেন তিনি। তবে প্রচারে জন সমাগম অনেকটাই কম ছিল। শেষ লগ্নেও বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থী প্রচারে না যাওয়ায় কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীরা। কাশিজোড়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বিজেপির তরফে পতাকা লাগানো হয়েছে। কিন্তু প্রচার হয়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Medinipur, #tmc, #By Election, #sujoy hazra

আরো দেখুন