রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

হার্ডওয়্যার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আসছে বাংলায়, রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

November 14, 2024 | 2 min read

ছবি সৌজন্য: Deep Sea Developments

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এই প্রথম হার্ডওয়্যার ক্ষেত্রে লগ্নি আসছে বঙ্গে। তৈরি হবে স্মার্ট মিটারের কারখানা। কর্মসংস্থানও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। লগ্নি আকর্ষণ টানতে রাজ্য নিয়ে আসতে চলেছে নতুন সেমিকন্ডাক্টর নীতি। গত ৭ নভেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হল কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-এর বৈঠক। কলকাতা তথা বাংলায় সফটওয়্যার ক্ষেত্রে বারবার বিনিয়োগ এসেছে। হার্ডওয়্যার ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগ এই প্রথম আসতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইউরোপীয় স্মার্ট মিটার তৈরির সংস্থা ইসক্রামেকোর সুবাদেই আসছে বিনিয়োগ। দায়িত্ব দিচ্ছে সংস্থার ভারতীয় শাখা, ইসক্রামেকো ইন্ডিয়া। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মদন মোহন চক্রবর্তী জানান, “বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবে আমরা ৫ একর জমি নিয়েছি। সেখানে ১১ তলা বাড়ির দুটি তলায় প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড অ্যাসেম্বলিং (পিসিবিএ) ও স্মার্ট মিটার উৎপাদন করা হবে। বাকি ১টি তলায় বিভিন্ন সফ্টওয়্যার সংস্থা স্মার্ট মিটারিং সলিউশনস তৈরি করবে। এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হবে। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৯ হাজার জনের।”

তিনি আরও জানান, “বাংলায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে সেই বৃদ্ধির হারকে বহুগুন করতে হলে হার্ডওয়্যার ক্ষেত্রে লগ্নি প্রয়োজন। আমাদের প্রকল্পের পর আরও ২-৩টি হার্ডওয়্যার সংস্থা রাজ্যে লগ্নি করলে পশ্চিমবঙ্গের বৃদ্ধির হার এক লাফে অনেকটা বাড়বে।” প্রসঙ্গত, ইসক্রামেকো ইন্ডিয়া ৪ বছর আগে কলকাতা থেকেই যাত্রা শুরু করেছিল। কলকাতার প্রস্তাবিত কারখানাটি আকারে তাদের সবচেয়ে বড় কারখানা হতে চলছে। ৯ লক্ষ বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হবে কলকাতার কারখানাটি। এই স্মার্ট মিটার জল, গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য ব্যবহার করা যাবে। সব রাজ্যেই এটি হয় ব্যবহার করা হচ্ছে বা আগামীদিনে হবে। ইসক্রামেকো, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (ডব্লিউবিএসইডিসিএল)-র থেকে বিদ্যুতের ২.৫ লক্ষ স্মার্ট মিটার সরবরাহ এবং ইনস্টলেশনের টেন্ডার পেয়েছে।

মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কগনিজ্যান্টও বাংলায় বিনিয়োগ করবে। সল্টলেকের সেক্টর ৫ অঞ্চলে তাদের সংস্থার ক্যাম্পাসের পুনর্নির্মাণ করার কথা ঘোষণা করেছে তারা। সেক্টর ফাইভে সংস্থার প্রথম অফিসটি কোভিডের সময় থেকে বন্ধ। সেটি নতুন করে তৈরির পরে খোলা হবে। ১২-১৮ মাসের মধ্যে অন্তত ২ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আনতে রাজ্য সরকার নিয়ে আসতে চলেছে নয়া সেমিকন্ডাক্টর নীতি। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, “আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেমিকন্ডাক্টর ও গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টার (জিপিসি) তৈরির চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করছি। প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে ছাড় পেলে তা মন্ত্রীসভায় যাবে অনুমোদনের জন্য।”
মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ কলকাতায় ‘সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট’ তৈরি করবে, এ কারণেই রাজ্য সরকার নয়া সেমিকন্ডাক্টর নীতি আনছে বলে মনে করা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Hardware, #Hardware sector, #West Bengal, #Industry, #investment, #Employment opportunities

আরো দেখুন