আদানি, সম্ভল ইস্যুতে বিক্ষোভে ফের অচল সংসদ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই আদানি ইস্যুতে সংসদে হট্টগোল পাকানো শুরু করেছে কংগ্রেস। সঙ্গে যোগ দিয়েছে কয়েকটি বিরোধী দলও। যার জেরে এ পর্যন্ত সেভাবে সংসদ চালানোই যায়নি। শুক্রবারও অধিবেশন শুরুর পরই কংগ্রেস সাংসদরা আদানি ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সঙ্গে যোগ দেয় অন্য কয়েকটি বিরোধী দল। তৃণমূল সেই ইস্যুতে বিক্ষোভে যোগ দেয়নি।
এদিকে সম্ভলের মসজিদে সমীক্ষার সময় হিংসার প্রসঙ্গ তুলে সরব হয় সমাজবাদী পার্টিও। ফলে সম্মিলিত বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে সংসদের দুই কক্ষই সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হয়। এদিন অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় সংসদে বাংলাদেশ ইস্যুতে আলোচনা বা বিবৃতির সম্ভাবনা সোমবার পর্যন্ত খারিজ হয়ে গেল।
তৃণমূল শুরু থেকেই বলে আসছে আদানি ইস্যুতে তাঁরাও আলোচনার পক্ষে। কিন্তু কোনও একটা বিষয় নিয়ে সংসদ অচল করে রাখার পক্ষে রাজ্যের শাসকদল নয়। বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের দুই কক্ষের নেতারা, লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সংসদের দুই কক্ষ সচল করার কথা বলেন।
লোকসভার স্পিকারের কাছে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, ‘দয়া করে অধিবেশন চালান। সোমবার থেকে সংবিধান নিয়ে আলোচনা শুরু করা হোক। সেই মঞ্চে সব দল তাঁদের বক্তব্য রাখতে পারবেন। প্রতি দিন অধিবেশন ভন্ডুল হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের বিষয় আড়ালেই থেকে যাবে।’
আপাতত স্থির হয়েছে, সোম এবং মঙ্গলবার লোকসভায় সংবিধানের ৭৫ বছর উপলক্ষে আলোচনা হবে। সূদীপের কথায়, “অধিবেশনের এক সপ্তাহ ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে কোনও কাজ ছাড়াই। আশা করছি, সোমবার থেকে সংসদ কাজে ফিরবে। কিন্তু বুধবার থেকে আবার কী হবে তা বলতে পারি না।”