পড়ুয়া, পর্যটকদের জন্য সুখবর! সতীশচন্দ্র সামন্ত পার্কে বসছে কম্পুটারাইজড টেলিস্কোপ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীতের মরশুমে স্কুল পড়ুয়া ও পর্যটকদের জন্য সুখবর। হলদিয়া পুরসভার উদ্যোগে সতীশচন্দ্র সামন্ত পার্কে বসানো হচ্ছে এক জোড়া কম্পুটারাইজড টেলিস্কোপ। হলদিয়ায় বেড়াতে এসে পর্যটকরা রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। হলদি নদীর তীর সৌন্দর্যায়নে ওয়েস্ট মেটিরিয়াল আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট পার্ক তৈরি হচ্ছে। পুরসভার বিভিন্ন গোডাউনে পড়ে থাকা স্ক্র্যাপ মেটিরিয়াল শিল্পকলা উদ্যান তৈরির কাজে লাগানো হচ্ছে। শীতের মরশুমে পুর এলাকার ১০-১২টি পার্ক নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। আবাসন সংলগ্ন পার্কগুলিতে শীতকালে শনি ও রবিবার স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করছে পুরসভা।
টাউনশিপের নদী ঘাটগুলিকে আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেলিস্কোপের জন্য শহরের বাসিন্দা ও পর্যটকদের কাছে নয়া ডেস্টিনেশন হতে চলেছে টাউনশিপ সংলগ্ন হাতিবেড়িয়ার সতীশচন্দ্র সামন্ত পার্ক। পুরসভার দাবি, রাজ্যে প্রথম কোনও পার্কে এত শক্তিশালী ও বড়মাপের টেলিস্কোপ বসছে। যা হতে চলেছে অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড টেলিস্কোপ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তা কাজ করবে। সহজেই এটি ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। টেলিস্কোপে জিপিএস সিস্টেম লাগানো থাকবে এবং গ্রহ-নক্ষত্র দেখার জন্য সহজে দিগনির্দেশ করতে পারবে। যেকোনও পড়ুয়া বা সাধারণ মানুষ টেলিস্কোপের মাধ্যমে চাঁদের ভূপ্রকৃতি, মঙ্গলগ্রহ বা সৌরজগত বা দূরের কোনও গ্রহ নক্ষত্র সহজে দেখতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা খরচে নতুন টেলিস্কোপ আনা হচ্ছে। একটি শিল্প সংস্থার সহায়তা চেয়েছে পুরসভা। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থাকে।
ওই সংস্থা সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অর্থ খরচ করবে। সতীশচন্দ্র সামন্ত পার্কে প্রবেশের মুখে স্টিলের লুকআউট টাওয়ার তৈরি করে টেলিস্কোপ বসানো হচ্ছে।
ওই টেলিস্কোপের সাহায্যে অ্যাস্ট্রো ফোটোগ্রাফি বা সৌরজগতের ভিতরে ও বাইরেও ছবি তোলা সম্ভব। সন্ধে নাগাদ এক-দেড় ঘণ্টা আকাশ দেখানোর ব্যবস্থা করবে পুরসভা। বড়দিনের আগে স্ক্র্যাপ মেটিরিয়াল শিল্প উদ্যানের সূচনা হবে।