সাজ সাজ রব দীঘায়, মঙ্গলবার সৈকত শহরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আগামীকাল, ১০ডিসেম্বর, মঙ্গলবার দীঘা সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মীয়মাণ জগন্নাথধামের কাজকর্মের অগ্রগতি দেখবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। দীঘায় জোরকদমে জগন্নাথধামের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। আলোকমালায় সেজে উঠেছে গেট, মূল মন্দির-সহ সবক’টি মন্দির। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে দীঘা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কপ্টারে দীঘা আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন-সহ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ‘হিডকো’র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ১২ডিসেম্বর কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
জগন্নাথধামের প্রবেশদ্বার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মূল মন্দির ছাড়াও পাঁচটি মন্দির তৈরির কাজ শেষের দিকে। সবক’টি মন্দিরের শীর্ষে চূড়া বসানো হয়েছে সম্প্রতি। ভোগঘর নির্মাণের কাজও চলছে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি আগেই এসে গিয়েছে। জগন্নাথধাম থেকে মাসির বাড়ি অর্থাৎ দীঘার আদি জগন্নাথ মন্দির পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করেছে পূর্তদপ্তর। মাসির বাড়ির প্রবেশপথে ‘চৈতন্যদ্বার’ গেট তৈরির কাজ চলছে। রাস্তার দু’দিকে গাছ বাঁচিয়ে কংক্রিটের উপর পেভার ব্লক দিয়ে ফুটপাত তৈরি হয়েছে। জলাভূমি সংস্কার করে পাড় বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে। রয়েছে বসার আসন, আলোর পরিকাঠামো। ২০১৮সালে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিউ দীঘার ভগীব্রহ্মপুর মৌজায় ২৫একর জায়গায় মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। এই কাজে প্রায় ২০০কোটি টাকা ব্যয় করছে রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে দীঘা সাজানোর কাজ চলছে। ওল্ড দীঘার বিশ্ববাংলা পার্ক-সহ অন্যান্য পার্ক সংস্কার করা হয়েছে। সমুদ্রের ধারে কংক্রিটের বাঁধানো বসার জায়গা সাফ করা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে বিভিন্ন কাজ ও ফিল্ড ভিজিটের জন্য শনি ও রবিবার ছুটির দিনও দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার(ডিএসডিএ) অফিস খোলা ছিল। কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়। দীঘা সহ উপকূল এলাকার সবক’টি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন সহ অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রিভিউ মিটিং করতে পারেন ভেবে প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর দীঘা সফরের সামগ্রিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।