ঝাড়গ্রামের নয়া পর্যটন কেন্দ্র পঞ্চবটী মাহাত সরোবর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঝাড়গ্রাম রাজ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল। জেলায় পর্যটন স্থলগুলি নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। পর্যটকরা পরিচিত পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছাড়াও নতুন নতুন স্থানের সন্ধান করছেন। জেলার পঞ্চবটী মাহাত সরোবর এতদিন প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কাছে অজানাই ছিল। ঝাড়গ্রামের সাপধরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ধোবাধবিন এলাকায় এই সরোবরটি রয়েছে। এখানে প্রধান আকর্ষণ বোটিং।
প্রশাসনের তরফে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। উদ্যোগী যুবকরাও অচেনা স্থানগুলোকে পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে। পঞ্চবটী মাহাত সরোবর স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। উদ্যোক্তা প্রতাপ মাহাত বলেন, পর্যটকরা বেলপাহাড়ীর ঘাগরা, কাঁকড়াঝোর, গাডরাসিনি, কেটকিঝর্ণা, লালজল গোপীবল্লভপুরের ঝিল্লি পাখিরালয়, প্রাচীন রাজবাড়ির মতো নৈসর্গিক স্থানে ঘুরতে যান। এখন তাঁরা নতুন নতুন জায়গায় যাচ্ছেন। পর্যটক আসার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ পাচ্ছেন।
কেউ গাইডের কাজ, কেউ রান্নার কাজ করছেন। জমির শাকসব্জি, হাঁস মুরগি হোটেল, লজ, হোমস্টেতে সরবরাহ করছেন। বছরের ছ’সাত মাস পর্যটক আসার ফলে বিকল্প আয়ের পথ খুলে যাচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখেই এখানে পর্যটন স্থল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। রাত্রি নিবাসের জায়গা আছে। রেস্তরাঁয় পছন্দমতো খাবার পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে কাজ করছেন। ব্লক প্রশাসন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় স্তরের আর্থিক বিকাশে এই পর্যটনস্থলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
লোধাশুলি এলাকার বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মী বিকাশ রানা বলেন, এই পর্যটনস্থলটি সম্পর্কে পরিচিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে পারি, এমন একটি জায়গা আছে। রবিবার ছুটিতে এক বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে এসেছি। এমন নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ আগে দেখিনি। পরিবার নিয়ে ফের আসব। ঝাড়গ্রামের বলরামডিহি এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু সাউ বলেন, এই বছর নতুন কোনও পর্যটনস্থলে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। ঝাড়গ্রাম ব্লকে এমন পর্যটনস্থল যে আছে, জানতাম না। এখানে এসে ভালো লাগছে। সাপধরা এলাকার বাসিন্দা পুষ্পল মাহাত বলেন, আগে অল্প কিছু পর্যটক আসত। এখন পর্যটক আসার সংখ্যা বেড়েছে। শাকসব্জি, হাঁস মুরগি সরবরাহ করে বাড়তি আয় হচ্ছে। পঞ্চবটী মাহাত সরোবর যে পর্যটনস্থল হয়ে উঠতে পারে, সেটা আগে ভাবতেও পারিনি। অপর বাসিন্দা করবী দলুই বলেন, আমার ছেলের টোটো আছে। শহর থেকে পর্যটকদের এখানে নিয়ে আসছে। ছেলের রোজগার বাড়ায় ভালো লাগছে।