বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে? চলছে জোর চর্চা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বঙ্গ বিজেপি’র নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে দলের মধ্যে। একটা অংশ চান শুভেন্দু অধিকারীকে করা হোক রাজ্য সভাপতি। আর একটা অংশ সেটার বিরোধিতা করছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বঙ্গ বিজেপি’র বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “দলের প্রতি প্রত্যেকের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। বিজেপির প্রতি সুকান্ত মজুমদারের দায়বদ্ধতা আছে। সাংসদ থাকলে এবং না থাকলেও সুকান্ত বিজেপিরই। যদি একজন সাংসদও বিজেপির না থাকে, এটা যদিও হবে না। তবুও কথার কথা বলছি, সুকান্ত তখনও বিজেপিই থাকবে।”
দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সুকান্তর এই মন্তব্যের নিশানায় বিজেপির কারা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে পদ্ম শিবিরে। অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দলীয় কর্মসূচি থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “বিজেপিই আনতে পারবে সুশাসন।
এদিকে বঙ্গ–বিজেপির যেটুকু সাফল্য এসেছিল সেটা দিলীপ ঘোষের জমানায়। যাঁকে দলের অন্যান্য নেতারা সাইড করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এখন এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের নামও ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাংলায় একুশের নির্বাচনের পর থেকে হারছে বিজেপি। পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভা এমনকী সমবায় নির্বাচনেও পর পর হেরেছে বিজেপির। বাংলায় সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে কমে এখন ১২ হয়েছে। বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে ৬৬’তে নেমেছে। এরপর রাজ্যের একের পর এক উপনির্বাচনে ভরাডুরি হয়েছে বিজেপির। আর তা সবটাই সুকান্ত মজুমদারের আমলে। সবকটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। এমনকী, মাদারিহাটেও উপনির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল। তাই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থাকুক এটা অনেকেই চান না।
এছাড়া ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেখানে বিজেপিকে ফল ভাল করতে হলে ফুলটাইম রাজ্য সভাপতি দরকার। সেটাই তথাগত রায় বলেছেন। শুভেন্দুকে সমর্থন করেছেন। অর্জুন সিংও সুযোগ বুঝে ঋণশোধ করার চেষ্টা করেছেন। কারণ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার পর আবার বিজেপিতে গিয়ে টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন শুভেন্দু।