ফের নাগরিকত্ব তাস খেলার পরিকল্পনা মোদী সরকারের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফের নাগরিকত্ব তাস খেলার পরিকল্পনা মোদী সরকারের! এবার তাদের হাতিয়ার— ‘সিটিজেন কার্ড’। নতুন এই কার্ড নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।
কী সেই জল্পনা? জানা গিয়েছে, এনপিআরের ভিত্তিতে বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের একটি করে সিটিজেন কার্ড দেওয়া হতে পারে। ওই কার্ডে থাকবে একটি ইউনিক নম্বর, যা সিটিজেন নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে। যদি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়, তাহলে আগামী দিনে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের পর আরও একটি নতুন কার্ড তৈরি হবে দেশে। আর তার জন্য সম্ভবত আবারও দাঁড়াতে হবে লম্বা লাইনে। অসমে এনআরসি চালু হওয়ার সময়ই এই প্রস্তাব নিয়ে প্রথমবার আলোচনা শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বৈধ ও অবৈধ নাগরিকদের মধ্যে সরাসরি পার্থক্য রচনা করার জন্য এই একটি নাগরিকত্ব কার্ডই যথেষ্ট। যদি সিটিজেন কার্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়, তাহলে আসন্ন বাজেটেই এটির কথা উল্লেখ করতে হবে। মূলত অর্থবরাদ্দের জন্য।
২০১৯ সালে সেন্সাসের ঘোষণার সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল ৮৭৫৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি এনপিআর আপডেটের জন্য ৩৯৪১ কোটি টাকা। করোনা সঙ্কট এই পরিকল্পনা আটকে দেয়। আগামী বছরে মার্চ-এপ্রিল মাসে সেন্সাস ও এনপিআর শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। তবে এর সঙ্গে যদি যুক্ত হয় সিটিজেন কার্ড, তাহলে ব্যয়বরাদ্দ আরও বাড়বে। মোদী সরকার বারবার জানিয়েছে যে, ভোটার-প্যান-আধার ইত্যাদি কোনওটিকেই পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্বের কার্ড বলা যায় না। তাই একটি পৃথক সিটিজেন কার্ডের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। সেটা অবশ্য প্রধানত নিরাপত্তার কারণে। নতুন বছরে আবার সেই ভাবনা চর্চার ফিরতে চলেছে কেন্দ্রে।