দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদী জমানার গত সাত বছরে এক লক্ষাধিক কর্মী হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি, পরিষেবা শিকেয় উঠছে

December 31, 2024 | 2 min read

ফের শুরু ব্যাঙ্ক বিক্রির তোড়জোড়

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী জমানার গত কয়েক বছরে বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মী সংখ্যা বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। সরকারি বেসরকারি কর্মসংস্থান বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ব্যাঙ্কিং সেক্টরেই গত সাত বছরে কর্মী সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি কমে গিয়েছে। ২০১৪ সালে ‘প্রতিশ্রুতির যাত্রা’ শুরু হয়েছিল বছরে ২ কোটি চাকরির স্লোগান নিয়ে। পরবর্তীকালে বিরোধীরা এর নামকরণ করেছে ‘জুমলা’ বলে। ১০ বছর শেষে এবং চব্বিশের ভোটের আগে সরকার কৃতিত্ব দাবি করেছে দেড় বছরে ১০ লক্ষ চাকরির। সত্যিই কি তাই?

প্রকৃত তথ্য কিন্তু বাস্তবের থেকেও অনেক বিপজ্জনক। ২০২৪ সালে ভারতের সরকারি ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় মোট কর্মী সংখ্যা যেখানে এসে পৌঁছেছে, সেই অঙ্কটি ছিল ১৩ বছর আগে। অর্থাৎ প্রায় দেড় দশকে কর্মী সংখ্যা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার বদলে কমে গিয়েছে।

২০১১ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০২। ২০২৪ সালে সরকারি ব্যাঙ্কে মোট কর্মী ৭ লক্ষ ৫৬ হাজার। এর মধ্যে বিগত সাত বছরে ব্যাঙ্কগুলি (সরকারি) ১২ শতাংশ কর্মী সংখ্যা হারিয়েছে। ২০১৭ সালে সরকারি ব্যাঙ্কে মোট কর্মী ছিল ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৪১। সুতরাং স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সাত বছরে এক লক্ষাধিক কর্মী হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।

সবথেকে বেশি ধস নেমেছে? ক্লার্ক পদে। অর্থাৎ, সরাসরি আম জনতার পরিষেবা প্রদানে যাঁদের ভূমিকা সবথেকে বেশি। অফিসার, ক্লার্ক এবং সাবস্টাফ—এই হল কমবেশি ব্যাঙ্কিং কর্মী কাঠামো। এই তালিকায় সবথেকে বেশি ক্লার্ক পদাধিকারীরা। ২০২১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ক্লার্কের সংখ্যা কমেছে ১৭ শতাংশ। ২০১৭ সাল থেকে মোদি সরকার দু’টি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে। প্রথমত, যত দ্রুত সম্ভব একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হয় কমিয়ে দেওয়া হবে, কিংবা তাদের সংযুক্তিকরণ হবে। এভাবেই ২৭টি সরকারি ব্যাঙ্ককে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত করে আপাতত ১২টি অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থমন্ত্রক প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে, সংখ্যাটা আরও কমবে। টার্গেট? শেষমেশ চারটি সরকারি ব্যাঙ্ক রেখে দেওয়া।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#employees, #modi govt, #Bank employees, #govt banks, #private

আরো দেখুন