দেশ বিভাগে ফিরে যান

সুপার হিট ‘দুয়ারে সরকার’-র ধাঁচে শুরু হওয়া মোদীর ‘জন চৌপাল’ ডাহা ফেল?

January 6, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সরকারি পরিষেবাকে পৌঁছে দিয়েছে মানুষের দোরগোড়ায়। ২০২০ সালে শুরু হওয়া রাজ্যের দুয়ারে সরকার প্রকল্প কার্যত সুপার হিট। বাংলার জনপ্রিয় প্রকল্পের ছায়ায় মোদী এক প্রকল্প শুরু করেছেন, তার নাম জন চৌপাল। যা কার্যত ডাহা ফ্লপ হয়েছে। হাজার হাজার শিবির হলেও, শিবির পিছু গড়ে ষাট জন মানুষেরও পা পড়েনি বলে জানা যাচ্ছে।

পলিটিক্যাল স্টান্ট পছন্দকারী মোদী তৃতীয় ইনিংসের শুরুতে ১০০ দিনের ডেডলাইন দিয়েছিলেন। তারই প্রধান অঙ্গ ছিল জন চৌপাল। প্রতিটি মন্ত্রককে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেন মোদী। ১০০ দিনে মন্ত্রকগুলো কোন কোন কাজ করবে, তার ফর্দ চাই। সেই প্রেক্ষিতে ক্যাম্প করে পরিষেবা প্রধানের উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতীয় ডাক বিভাগ। দেশে পাঁচ হাজার এমন শিবির হবে। সবগুলোই হবে প্রান্তিক এলাকায়। দেশের নানা প্রান্তে কেন্দ্র সরকারের পরিষেবা সংক্রান্ত প্রচার চালাবে শিবিরগুলি। এছাড়া, সাধারণ মানুষের যদি কোনও পরিষেবার প্রয়োজন থাকে, এই ক্যাম্প থেকে তাঁরা তা পেয়ে যাবেন। মূলত পোস্ট অফিসে মানুষ যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন, তার উপরই জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। জানা যাচ্ছে, পাঁচ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চৌপাল হয়েছে তার তিন গুণেরও বেশি।

ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, ১৬ হাজার ১৪টি ক্যাম্পে সব মিলিয়ে হাজিরার সংখ্যা ছিল ৯,৩১,৫৪১ জন। হিসাবে কষলে, শিবির পিছু গড়ে ৬০ জন মানুষও আসেননি! পোস্ট অফিসের কাউন্টারগুলিতে এর চেয়ে ঢের বেশি গ্রাহক আসেন পরিষেবা নিতে! ডাক বিভাগের কর্মী-অফিসারদের ফরমান দেওয়া হয়েছিল, কেন্দ্রের জন চৌপাল উদ্যোগ সম্পর্কে প্রত্যেককে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল, ইনস্টাগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো ব্যক্তিগত পরিসরেও প্রচার চালাতে বলা হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে সরকারের মাহাত্ম্য প্রচারের কারণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে গোটা উদ্যোগই ফ্লপ হয়েছে। ১৬ হাজার শিবির কোথায় হয়েছে, কারা কারা তাতে অংশ নিয়েছেন, তেমন তথ্য খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিবিরে এত কম ‘ফুটফল’ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #Duare Sarkar, #Janta Choupal

আরো দেখুন