পূর্ব বর্ধমানে পর্যটনের প্রসারের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লকের অনেকগুলি পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। চুপির পাখিরালয়ে যান, নতুনগ্রামের কাঠপুতুলের শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে স্থানীয় হস্তশিল্পের স্টল তৈরি হবে। যাতে পর্যটকদের সঙ্গে হস্তশিল্পীদের সরাসরি যোগাযোগ হয়। কচুরিপানার তৈরি হস্তশিল্পের প্রসার ঘটানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। জেলাশাসক বলেন, চুপিকে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারজন্য এলাকার পার্শ্ববর্তী অংশ সহ বিভিন্ন বিষয় দেখতে হয়। সেইসবই পরিদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি চুপির ছাড়িগঙ্গার জলে অনেকে প্লাস্টিক ফেলছে। এটা বন্ধ করতে বিডিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
এদিন জেলাশাসক পূর্বস্থলী-২ ব্লকের কালনার মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল, বিডিও ও বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘোরেন। প্রথমে তিনি নতুনগ্রামে যান। সেখানকার কাঠপুতুল শিল্পীরা গ্রামের রাস্তা সংস্কারের আবেদন জানান তাঁকে। তারপর তিনি চুপির পাখিরালয় পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘোরেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে। বিশেষ করে কুটিরপাড়ায় কচুরিপানা থেকে নানা হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি করা হয়। এরজন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। জেলাশাসক সেসব ঘুরে দেখেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুনগ্রামের কাঠপুতুল অনলাইনেও বিক্রি হয়। তাই দু’টি নামী অনলাইন বিপণন সংস্থার সঙ্গে শিল্পীদের সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে। যাতে বিশ্বজুড়ে অনলাইনে এই হস্তশিল্প কেনার সুযোগ পাবেন সকলে। তাছাড়া চুপির পাখিরালয়ে কাঠপুতুল শিল্পীদের স্টলের ব্যবস্থা করা হবে। সারা বছর এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। তাই এখানে স্টল হলে শিল্পীরা লাভবান হবেন।