দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদী আমলে কর্মসংস্থান বেড়েছে? কেন্দ্রের দাবি ও গণনা পদ্ধতি ঘিরে সংশয়ের মেঘ

January 13, 2025 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমলে দেশের বেকারত্ব ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গিয়েছে, এমনই দাবি নীতি আয়োগের। বণিকসভা ও শিল্পমহল সরকারকে নাগাড়ে সতর্ক করছে, কর্মসংস্থান না-বাড়লে অর্থনীতির চাকা থেমে যাবে। বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি আর্থিক সংস্থার রিপোর্টেও বলা হচ্ছে, একই কথা। মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের জোড়া ধাক্কায় অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে না। কর্মসংস্থানের হার কমে যাচ্ছে। এধরনের অভিযোগ ও নানান রিপোর্টকে অসত্য প্রমাণ করতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক মরিয়া হয়ে উঠেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্ট ও নিজেদের সমীক্ষা প্রকাশ করে মন্ত্রক দাবি করে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে নাকি ৩৬ শতাংশ বেড়েছে কর্মসংস্থান। প্রায় ৬৫ কোটিতে পৌঁছেছে কর্মসংস্থান, এমনই দাবি।

কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মোদী সরকারের এহেন রিপোর্টের গণনা পদ্ধতি নিয়ে টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোস্যাল সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ বা নীতি আয়োগের প্রাক্তন পরিসংখ্যানবিদরা প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টের তালিকায় খেতমজুর, পারিবারিক স্বনিযুক্তি এবং অনির্দিষ্ট বেতনের অস্থায়ী কাজকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানবিদদের মতে, সংগঠিত ক্ষেত্রে কেউ কাজ করে না, এমন পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য যদি কোনও স্বনিযুক্ত ব্যবসায় শামিল হয়, তাহলে তা সরাসরি কর্মসংস্থান বৃদ্ধিহারের তালিকায় আসবে না। শ্রম মন্ত্রক এধরনের স্বনিযুক্তিকেও কর্মসংস্থানের তালিকায় ঢুকিয়েছে। কর্মসংস্থান যে বাড়ছে না তার অন্যতম বড় প্রমাণ হল কৃষিভিত্তিক কাজে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা। যখনই শহর ও গ্রামে সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ থাকে না, তখনই কৃষি সংক্রান্ত কর্মীর সংখ্যাবৃদ্ধি হয়। তাকে সংগঠিত কর্মসংস্থান বলা যায় না। শ্রমমন্ত্রক কিংবা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এগুলিকেও কর্মসংস্থান হিসাবে দেখিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#unemployment, #modi govt, #employment oppurtunities

আরো দেখুন