শীতে আমলকী রাখুন ডায়েটে, জানেন গুণাবলী?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আমলকী খুব গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ দ্রব্য। যার মধ্যে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরিতেও আমলকী ব্যবহার করা হয়। মধুর-অম্ল-লবণ-তিক্ত-কটু-কষা; ছ’টি রসই রয়েছে আমলকীতে।
কাঁচা আমলকী ভিটামিন-সির উৎস। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। সংক্রমণজনিত সমস্যা থেকেই রক্ষা করে। সর্দিকাশির সমস্যা মেটাতে এই ফল বিশেষ উপকারী।
আমলকীতে রয়েছে ‘সায়াভানাপ্রা’। পটাশিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাট, ট্যানিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালশিয়াম ইত্যাদিতে ঠাসা আমলকী। এছাড়া বেশ কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড যেমন পলিফেনলস, সাইটোকাইনিন, ম্যালিক অ্যাসিড ইত্যাদি আমলকীতে আছে।
সামান্য পরিমাণে ভিটামিন বি-ও আমলকীতে রয়েছে।
আমলকীতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে লিভারকে সুস্থ রাখে।
আমলকীতে থাকা পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
শরীরে জমে থাকা কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। ভালো কোলেস্টেরেলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে আমলকী।
আমলকীতে ফাইবার আছে। তাই আমলকী হজমে সহায়ক।
আমলকীর রস চুলের গোড়াকে পুষ্টিপ্রদান করে। চুলের যেকোনও সমস্যায় আমলকী অব্যর্থ।
মুখের রুচি ফিরবে, অজীর্ণ থেকে হওয়া সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ পাবেন আমলকী খেলে।
আমলকী ভেজানো জল চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে, প্রদাহ কমায়, অম্ল নাশ করে হার্টের গতিকে স্বাভাবিক রাখে।
মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে আমলকী। অকালবার্ধক্য দূর করতেও এই ফলের ভূমিকা আছে। তাই এই ফল চিরযৌবনের ধারক।
তবে কিডনির বড় ধরনের সমস্যা থাকলে আমলকী খাবেন না।