সজাগ পুলিশ ও প্রশাসন, নির্বিঘ্নেই শেষ হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নির্বিঘ্নেই শেষ হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ থেকে বুধবার সকাল ৬টা ৫৮ পর্যন্ত চলল মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। সকাল থেকেই সাগর মেলায় এসেছেন কাতারে কাতারে মানুষ। বাংলাদেশিরা ভিড়ের মধ্যে উপকূলবর্তী সীমানা দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার সাগর হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছে রাজ্য সরকার। এই তথ্য পেতেই নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপরতা শুরু করে সুন্দরবন জেলা পুলিশ। উপকূলের প্রবেশ পথ থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা ছিল গঙ্গাসাগর মেলা এবং এলাহাবাদের মহাকুম্ভ মেলায়। গঙ্গাসাগর মেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে বাংলাদেশের জামাত, এমন খবরও ছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার পর কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ ও নামখানার চেমাগুড়ি, সাগরে যাওয়ার এই দুই পয়েন্টকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সাগরদ্বীপের নিকটস্থ উপকূলীয় জলপথে ক্রমাগত টহলদারি চালাচ্ছেন কোস্টাল পুলিশ ডিভিশনের কর্মীরা। রয়েছে বিশেষ কমান্ডো ট্রেনিং নেওয়া ‘স্ট্রেকো’ বাহিনী। গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ১৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে সাগর মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুরো দায়িত্বটাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এডিজি, আইন শৃঙ্খলা, সুপ্রতিম সরকার।
গঙ্গাসাগর মেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নানের দিনেই সবথেকে বেশি ভক্তের জমায়েত হয়েছে। সাগর দ্বীপে ১১৫০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী ও নৌ-বাহিনীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছে পুলিশ প্রশাসন। প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় ‘এনডিআরএফ’-র তরফে নামানো হয় ডগ স্কোয়াড। ডগ স্কোয়াডের সঙ্গে রয়েছে একজন ডিপ ডাইভার স্পেশালিস্ট। বস্কো এবং ম্যাক্সি নামের দুই কুকুর জলপথ এবং স্থলপথে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছে।