দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদী আমলে অনটনের আঁধারে দরিদ্র-মধ্যবিত্তরা

January 16, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৪ সালের ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী, শিল্পোৎপাদন হার তলানিতে,কমেছে রপ্তানি, বেড়েছে আমদানি। গড় আয় কমে গেছে।গত ২ বছর ধরে থমকে আছে বেসরকারি সেক্টরে গড় বেতন বৃদ্ধি। কর্পোরেটের নিয়োগ সব থেকে কম বিগত ৫ বছরের মধ্যে। আম জনতার সঞ্চয় কমেছে। ।

অর্থনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এসবিআই রিসার্চ কোন মাপকাঠিতে দারিদ্র্য মাপছে? গ্রামীণ এলাকায় মাসে ১৬৩২ টাকার কম যারা ব্যয় করে (মাথাপিছু ব্যয়) তারা গরিব। শহুরে এলাকায় যারা ১৯৪৪ টাকার কম খরচ করে প্রতি মাসে, তারা গরিব। এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট যে, দরিদ্র হওয়ার মাপকাঠি কী? অর্থাৎ এই ব্যয়ক্ষমতার উপরে যারা বাস করে তারা গরিব নয়! ভারতের জিডিপি কত? সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি ডলার। প্রায় দেড় লক্ষ কোটি ডলারই ২০১ জনের হাতে।

ভারতের গরিব যখন আরও গরিব হচ্ছে, মধ্যবিত্ত যখন নিজের অজান্তেই নিম্নবিত্তের ব্র্যাকেটে প্রবেশ করে যাচ্ছে। শেয়ার মার্কেট ক্র্যাশ করলে তালিকাভুক্ত কর্পোরেটদের কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে না ভুগছে আম জনতার রিটেল লগ্নি, যাঁরা সামান্য টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে রাখেন। শেয়ার বাজারের । কারণ ফাঁপানো শেয়ার বাজারে গত ৮ বছর ধরে মধ্যবিত্ত বিপুল টাকা লগ্নি করেছে যার ফলে ভুগছে তারাই। অথচ মধ্যবিত্তের হাতেই আজ টাকা নেই। ভোগ্যপণ্য ক্রয়-বিক্রয় তলানিতে, শহরে কাজ নেই, তাই ১০০ দিনের কাজের তুমুল চাহিদা। অথচ, ২০২৪ সালে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরির গড় বৃদ্ধি হয়েছে ২৮ টাকা।

২০২৩ সালে ভারতে বিলিওনিয়ারের সংখ্যা ছিল ১৫৭। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের পরিসংখ্যান হল, এক বছরে ৪৪ জন বিলিওনিয়ার বেড়েছে। এই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। মোট বিলিওনেওয়ারের সংখ্যা এখন ২০১। তাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি ডলার। সবথেকে ধনী ব্যক্তি –
১) মুকেশ আম্বানি– তাঁর সম্পদ ৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।


২) গৌতম আদানি– আম্বানির সম্পদ ১০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের। সেক্ষেত্রে আদানির ১০ হাজার কোটি ডলার।
৩) এইচসিএল টেকনোলজির শিব নাদার– সম্পদ ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
৪) সান ফার্মা, দিলীপ সাংভি
৫) আজিম প্রেমজি

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Modi regime, #Economy, #poor, #middle class, #Rich

আরো দেখুন