দেশ বিভাগে ফিরে যান

হেরিটেজ সম্পত্তি বিক্রির পথে কেন্দ্র! জানেন কলকাতার কোন এলাকা বেচে দিচ্ছে মোদী সরকার?

January 19, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণই মোদী সরকারের ঘোষিত নীতি। একে একে বহু সংস্থাকেই বেচে দিচ্ছে মোদী সরকার। এবার সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য একটি সংস্থা খুলে ফেলেছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রক, দপ্তর বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির হাতে থাকা সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগও শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতার বুকে থাকা হেরিটেজ সম্পত্তির উপর নজর পড়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাছে রেসকোর্সের উল্টোদিকে থাকা বিএসএনএলের হেরিটেজ বাড়ি, জমি বিক্রি হবে। বিক্রির প্রশাসনিক উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ক্ষেত্রে সম্পদ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সম্পত্তি বেচে মোটা টাকা তোলাই লক্ষ্য কেন্দ্রের।

আলিপুরে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের পাশে বিএসএনএলের আওতায় একটি বড় এলাকা রয়েছে। নাম টেলিকম ফ্যাক্টরি। একদা টেলিফোনের হ্যান্ডসেট ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ তৈরি হত সেখানে। টেলিফোন সেট উৎপাদন বন্ধ থাকলেও এখন পাইপ ও কেবল উৎপাদন হয় সেখানে। কারখানা সরিয়ে খড়গপুরে নিয়ে যেতে চাইছে বিএসএনএল। তারপর জমি নিলামে তোলা হবে। তার জন্য আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছে। ফ্যাক্টরির একটি অংশের হেরিটেজ তকমা রয়েছে। ৫২ হাজার ১৭৮ বর্গমিটার এলাকা বিক্রি করা হবে, যার মধ্যে ১০ হাজার ১৪ বর্গমিটার এলাকা হেরিটেজ, আগ্রহপত্রে তার উল্লেখ থাকবে। বিএসএনএলের আইএনটিটিইউসি সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়ন, এফএনটিও, টেলিকম ফ্যাক্টরির সম্পাদক এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

২০২১ সালে বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক, দপ্তর বা সরকারি সংস্থার হাতে এমন কিছু সম্পদ আছে, যা কাজে আসছে না। সেগুলিকে যদি বেচে দেওয়া যায়, তাহলে সেখনে পর্যটনকেন্দ্র বা অন্য কোনও পরিকাঠামো গড়ে উঠতে পারে। নানা মহলের দাবি, রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলির কাছে সরকারি সম্পদ বিক্রি করা সরকারের আসল উদ্দেশ্য। ২০২২ সালে অর্থমন্ত্রকের আওতায় গঠিত হয় ন্যাশনাল ল্যান্ড মনিটাইজেশন কর্পোরেশন, যার ১০০ শতাংশ মালিকানা সরকারের। তারাই সরকারি সম্পদ বিক্রির কাজে নেমেছে। উত্তর ২৪ পরগনায় বিএসএনএলের হাতে থাকা দু’টি বিশাল জমি বিক্রির উদ্যোগ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।

আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা বিএসএনএলকে চাঙ্গা করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি মোদী সরকার। টেলিকম জগতে প্রতিযোগিতার বাজারে তাকে ক্রমশ পিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অবধি ওঠে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি নিজেদের বাঁচাতে ইতিমধ্যেই তাদের হাতে থাকা বিপুল পরিকাঠামোকে বিকল্পভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা পড়ে থাকা বাড়ি ভাড়া দিয়ে আয় করছে। বাড়ি ভাড়া বাবদ বিএসএনএল মাসে কোটি টাকার উপর রোজগার করছে। আলিপুরের সম্পত্তিও তেমন কোনও কাজে লাগানো যেত। তা না করে শুধুমাত্র পয়সার জন্য হেরিটেজ সম্পত্তি বিক্রি করা হচ্ছে কেন? প্রশ্ন উঠছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Privatisation, #modi govt, #Heritage property

আরো দেখুন