পর্যটকদের জন্য সুখবর: কার্গিল, সিয়াচেন-সহ বিভিন্ন রণাঙ্গনে ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ শুরু করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কার্গিল সহ বিভিন্ন রণাঙ্গনে অসামান্য বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছে ভারতীয় সেনা। সেই সব স্থানকে নিয়ে ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ শুরু করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। উদ্দেশ্য, বিখ্যাত যুদ্ধক্ষেত্রগুলিকে পর্যটনস্থল হিসেবে গড়ে তোলা। পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে কাশ্মীরের গালওয়ান, সিয়াচেন, সিকিমের নাথু লা, অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু সহ আরও ৭৫টি জায়গাকে এই ‘যুদ্ধক্ষেত্র পর্যটন’-এর আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। রাজস্থানের লোঙ্গেওয়ালার মতো কয়েকটি স্থান ইতিমধ্যেই পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়। ১৫ জানুয়ারি ছিল সেনা দিবস। ওই দিনই ‘ভারত রণভূমি দর্শন’-এর উদ্বোধন হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, নতুন উদ্যোগের ফলে সীমান্ত এলাকার পর্যটনের উন্নতির পাশাপাশি ভারতীয় সেনার ইতিহাস নিয়ে সচেতনতা ও দেশাত্মবোধ আরও বৃদ্ধি পাবে। চাঙ্গা হবে স্থানীয় অর্থনীতিও।
কীভাবে যাওয়া হবে প্রতিকূল এলাকায়? মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ভারত রণভূমি দর্শন’-এর ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ যাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমেই যুদ্ধক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন পর্যটকরা। ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চীনের সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫-৪৫ জন চীনা সেনারও। তার আগে ২০১৭ সালে ডোকা লা’তেও পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।
এখন থেকে গালওয়ান বা ডোকা লার পরিস্থিতি কী, তা নিজের চোখেই দেখতে পারবেন পর্যটকরা। একইভাবে ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় সিয়াচেনের বেস ক্যাম্প থেকে ১৫ হাজার ফুট পর্যন্ত পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে সব ক্ষেত্রেই নিরাপদ দূরত্ব পর্যন্তই যাওয়া যাবে। সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত এলাকায় এখন রাস্তা সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাই পর্যটকদের নিরাপদে যাতায়াতে কোনও সমস্যা হবে না।