বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি! জনসংযোগ বাড়াতে শ্রমিকদের সঙ্গে পিকনিকে তৃণমূল নেতৃত্ব

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরবঙ্গে জানুয়ারি মাসের রবিবার মানেই পিকনিকে যাওয়ার হিড়িক। ডুয়ার্সজুড়ে নদী, অরণ্য, পাহাড়, জঙ্গলের কোলে হাজার মানুষ ভিড় করে পিকনিকে মেতে ওঠে। রবিবারের দুপুরে একঝাঁক তৃণমূল নেতা যোগ দেন পিকনিকের আসরে। কে নেই সেই দলে? কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, কিষান খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি খোকন মিঁয়া, আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি পরিমল বর্মন, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আইজুল হক সহ আরও অনেকে।
কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। যে ‘কাকা’ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ‘ভাইপো’ পার্থপ্রতিম রায়ের কার্যত মুখ দর্শন করতেন না তাঁরা এখন একে অপরের ছায়াসঙ্গী। একসঙ্গে পিকনিকেও যান। অপরদিকে, ‘কাকা-ভাইপো’ বিরোধী গোষ্ঠী বিভিন্ন সভা-সমিতি থেকে রীতিমতো নাম না করে তাঁদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে। ফলে জেলায় তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতি বেশ সরগরম হয়ে রয়েছে। ফাটল রীতিমতো চওড়া হচ্ছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক মাঠে নেমে কাজ করছেন। তবে পিকনিকে যাওয়ার সময় তাঁর নেই বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে রবিবাবু কিন্তু নির্মাণ শ্রমিকদের ডাকে পিকনিকে গিয়েও জনসংযোগ করেন। সারা দিন শ্রমিকদের সঙ্গে যেমন কাটান তেমনই কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে আসা বহু মানুষের সঙ্গে পিকনিক স্পটে বসেই খোলামেলা আড্ডা দিয়েছেন।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবি ঘোষ বলেন, নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের আমন্ত্রণে এদিন দক্ষিণ পোড়োবস্তিতে পিকনিকে গিয়েছিলাম। বহু বছর পর পিকনিকে যাই। বহু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। পরোটা ও গরম গরম সব্জি দিয়ে টিফিন করেছি। দুপুরে মেনুতে ছিল মাছ, মুরগির মাংস, পাঁঠার মাংস, চাটনি, দই, মিষ্টি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই দলকে আরও সংগঠিত করার কাজে কোনও ক্ষেত্রকেই বাদ দিচ্ছে না কোচবিহারের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।