এবার প্রত্যন্ত গ্রামে ‘দুয়ারে পুলিশ’ কর্মসূচি শুরু করছে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দুয়ারে রেশনের পর এবার ‘দুয়ারে পুলিশ’। নদীয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের ভরসা জোগাতে শুরু হচ্ছে পুলিশি পরিষেবা শিবির। লক্ষ্য, মানুষকে আইন-শৃঙ্খলার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট দিনে বসবে এই সহায়তা ক্যাম্প। এখানে লিখিত ছাড়াও মৌখিক অভিযোগও জানানো যাবে। শুক্রবার থেকে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের নির্দেশে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ধুবুলিয়া থানা এলাকায় পাঁচটি, নবদ্বীপে থানা এলাকায় পাঁচটি, নাকাশিপাড়ায় পাঁচটি এবং ধুবুলিয়ায় থানা এলাকায় ছ’টি মোট ২১টি পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র চালু হবে। এখানে অভিযোগ গুরুত্ব অনুসারে প্রথমেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রবীণ ও শারীরিকভাবে অক্ষম নাগরিকদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০ জানুয়ারি নবদ্বীপ থানার কালীনগর ঢালির চড়া, ২৯ জানুয়ারি মায়াপুর–বামুনপুকুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতে ইদ্রাকপুর, ৩ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত খালজোল পাড়া আনন্দবাস, ৮ ফেব্রুয়ারি নিদয়া এবং ১২ ফেব্রুয়ারি মায়াপুরের চরকাষ্ঠশালি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি বা ক্যাম্প থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে পাঁচটি প্রত্যন্ত গ্রামে ক্যাম্প করে দেওয়া হবে এই পুলিশি পরিষেবা।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার ‘বন্ধু’ প্রকল্প চালু করেছেন। তারই একটা বিভাগ হিসেবে প্রত্যন্ত গ্রামে কৃষ্ণনগর পুলিস জেলা ক্যাম্প করছে। জেনারেল ডায়েরি, নিখোঁজের মতো ছোটখাটো সমস্যার ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হবে। আর বড় কেসের ক্ষেত্রে টাইম জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে থানাতে এলেই হবে মুশকিল আসান। এছাড়া পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রে জিডি করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জিডি নম্বর দেওয়া হবে। অ্যাসিস্ট্যান্স বুথগুলিতেও আইসি, ওসিদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই শিবির হবে।
উল্লেখ্য, দূরত্ব এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা জনিত নানা সমস্যার কারণে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে অনেকে সময় মত থানায় আসতে পারেন না। তাঁদের সেই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।