প্রতারণা নিত্যনতুন ছক! লুটের টাকায় কেনা জিনিস বিকোচ্ছে অনলাইনে, কিনলেই বিপদ!

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সাইবার জালিয়াতরা অপরাধের ধরণ বদলাচ্ছে। আড়ালে থাকতে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিচ্ছে বা তাকেও অপরাধে শামিল করছে প্রতারকেরা। কোনও নিরিহ মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেই টাকায় বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইলের মতো দামী জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছে প্রতারকরা। প্রতারিত ব্যক্তি ব্যাঙ্কে বা স্থানীয় সাইবার থানায় পৌঁছনোর আগেই টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে দামী জিনিসপত্র কেনার পর সেগুলি আকর্ষণীয় ছাড়ে বিক্রি করে দিচ্ছে প্রতারকরা। ২৫০০০ টাকার কোনও জিনিসে ৭০০০ টাকার ছাড় দিয়ে সেটি ১৮০০০ হাজার টাকায় বিক্রি করলেও জালিয়াতদের কোনও লোকশান হচ্ছে না। যাঁর কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে সেই জিনিস কেনা হয়েছে, তাঁরই ক্ষতি হচ্ছে।
সাইবার প্রতারণার তদন্তে নেমে মানি ট্রেল খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। অভিযান চালানো হচ্ছে রাজ্যজুড়ে, ভিনরাজ্যেও। দেখা যাচ্ছে, প্রতারণা করে হাতানো টাকা যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে, সেগুলি ভুয়ো। টাকার মালিকের হদিশ পেতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের একাধিক চক্রের সদস্যদের এক এক করে গ্রেপ্তার করছে লালবাজারের সাইবার থানা।
পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে জালিয়াতরা একের পর এক পরিকল্পনা নিচ্ছে। জালিয়াতির টাকা দিয়ে কেনা টিভি, মোবাইলের ভিডিও বানাচ্ছে, ছবি তুলছে। তারপর সেগুলি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে অনলাইন মার্কেটিং করছে। যাঁরা ইন্টারনেটে ওই ধরনের কোনও জিনিস খোঁজেন, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের টাইমলাইনে প্রতারকদের বুস্টেড পোস্ট ভেসে ওঠে। লোভনীয় ছাড় দেখে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা সেই জিনিসটি কেনার কথা ভাবেন। লালবাজারের গোয়েন্দারা বৈধ ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি থেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে বলছেন। না বুঝে যে কেউ অনলাইন জালিয়াতি চক্রের অংশ হয়ে যেতে।