বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে গঙ্গাসাগর ও শিল্প সেতুর শিলান্যাস করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৫ ও ৬ জানুয়ারি রাজ্যে বসছে বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। সূত্রের খবর, সম্মেলনের প্রথম দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর সেতু ও শিল্প সেতুর শিলান্যাস করবেন। প্রায় ২০০০ কোটি অর্থমূল্যের এই দু’টি বৃহৎ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন কয়েক কোটি মানুষ। সাগরদ্বীপ সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দাদের পাশাপাশি গঙ্গাসাগর সেতুর সুবিধা পাবেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। অন্যদিকে, শিল্প সেতু তৈরি হলে উপকৃত হবেন বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে বাড়বে বিনিয়োগও।
দু’টি প্রকল্পই রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে পূর্তদপ্তর। আগেই প্রকাশ্যে এসেছে গঙ্গাসাগর সেতুর নকশা। এবার অনুমোদিত হয়ে গেল শিল্প সেতুর নকশাও। বর্ধমানে দামোদর নদের উপর ৫০ বছরের বেশি পুরনো কৃষক সেতুর অবস্থা বেহাল হয়ে যাওয়ায় তার পাশেই শিল্প সেতু গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। ৬৪০ মিটার দীর্ঘ এবং তিন লেনের ‘এক্সট্রা ডোজ কেবল স্টেড’ ব্রিজ হবে এটি। খরচ হবে ৩৪৮ কোটি টাকা। পুরনো ব্রিজকে পাশে রেখে নতুন ব্রিজটি তৈরির পর তা কেমন দেখতে হবে, সেই নকশাও প্রকাশ্যে এসেছে। বিশেষ আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে অনেকটা দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আদলে তৈরি এই সেতুকে। রাতে সেতুটি কেমন দেখতে লাগবে, সেই নকশাও তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবারই রাজ্য মন্ত্রিসভা গঙ্গাসাগর সেতু তৈরির জন্য সরাসরি জমি কেনার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। এই সেতু তৈরি করতে মোট ১২.৯৭ একর জমি রাজ্য সরকারকে কিনতে হবে। এর মধ্যে কাকদ্বীপের দিকে ৭.৯৫ একর এবং কচুবেড়িয়ার দিকে ৫.০১ একর জমি কিনতে হবে। কেন্দ্র কথা না রাখায় নিজস্ব কোষাগার থেকে খরচ করেই গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণ করছে রাজ্য। মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সাগরদ্বীপকে জুড়বে এই সেতু। খরচ হবে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। জমি কেনার ছাড়পত্র দিয়ে এই সেতুর কাজে আরও গতি আনতে উদ্যোগী হল নবান্ন। প্রায় ৫ কিলোমিটার লম্বা এবং চার লেনের সেতুটি কাকদ্বীপ এবং কচুবেড়িয়াকে যুক্ত করবে। সেতুর দু’পাশেই থাকবে ফুটপাত।