ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ে এবার যাত্রীদের আঙুলের ছাপ দিতে হতে পারে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেলওয়ে স্টেশনের পিআরএস কাউন্টার থেকে টিকিট বুকিং করতে এবার থেকে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের আঙুলের ছাপ দিতে হতে পারে। প্রধানত ‘অফলাইন’ টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক চালুর ভাবনায় রয়েছে রেলমন্ত্রক। সরকারি সূত্রে দবি করা হয়েছে যে, রেল স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার সময় আঙুলের ছাপ দেওয়ার পদ্ধতি চালু হলে দালালরাজ কার্যত খতম হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়। এহেন বন্দোবস্তে ট্রেনের অবৈধ টিকিট বুকিংয়ের সম্ভাবনাও একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে।
কিন্তু আচমকাই কেন এমন বেনজির চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রেলমন্ত্রক?জানা যাচ্ছে যে, সম্প্রতি রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) সাইবার সেল এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে রেল বোর্ডের কাছে। সেখানে ট্রেনের টিকিটে দালালরাজ কমানোর উদ্দেশে নির্দিষ্ট করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং ‘অফলাইন’ বুকিংয়ের সময় বায়োমেট্রিক চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রকের আওতাধীন সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম (আইআরসিটিসি) এবং রেলের বিভিন্ন টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রদানকারী সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফমের্শন সিস্টেমসের (সিআরআইএস) সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
আরপিএফের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো হলেও রেলে দালালরাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন স্টেশনের সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টারগুলির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখলেই দালাল নজরে আসে। তুলনায় বহুগুণ বেশি টাকায় ‘কনফার্মড’ টিকিট দেওয়ার জন্য জোরাজুরিও করে তারা। এই দালাল চক্র যেমন অবৈধ, তেমনই তাদের কাছ থেকে টিকিট কেনাও সম্পূর্ণ বেআইনি। আরপিএফ সাইবার সেলের প্রস্তাব হল, ট্রেনের ‘অফলাইন’ টিকিট বুকিংয়ের সময় বায়োমেট্রিক চালু হলে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং’য়ের মাধ্যমে তার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব হবে।