২৬ হাজারের প্যানেল বাতিলের ইস্যুতে দলের অন্দরেই বিরোধিতার মুখে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৬ এসএসসি-তে ২৫,৭৫৩ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল মামলায় সোমবার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময় আদালতে মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই ২৬ হাজারের প্যানেল বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর এই অবস্থান নিয়ে দলের মধ্যে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও সিপিএম রাজ্যসভা সাংসদ বিকাশবাবু।
রাজ্য সরকার যখন নিয়োগ করতে চাইছে তখন এভাবে সেই চাকরির বিরোধিতা করার অর্থ কর্মসংস্থানের পরিপন্থী। তৃণমূল কংগ্রেস আগেই এই ইস্যুতে সিপিএমকে ‘কর্মসংস্থান বিরোধী’ তকমা দিয়েছে। তাতে রাজ্যে দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন কমরেডরা।
এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে-র বক্তব্য, ‘‘২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর সম্পর্কে আমাদের মনোভাব এটাই যে, খুব স্পষ্টভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে হবে। যারা যোগ্যতার বিচারে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি চলে যাবে, এটা হতে পারে না। প্যানেল বাতিল করা মানে এই প্যানেল আবার প্রস্তুত করতে দু-তিনবছর সময় লেগে যাবে। তা হলে স্কুলগুলি শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ে থাকবে।’’ দেবাঞ্জনের দাবি, ‘‘যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি কাড়া যাবে না, যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের আবার পরীক্ষা নেওয়া হোক।’’
উল্লেখ্য, আরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বলে দাবি করছে এসএফআই। আর তাদের পার্টির নেতা চাকরি প্রার্থীদের প্যানেল বাতিলের দাবি করছেন। এর বিপক্ষে থাকা এসএফআই নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আইনজীবী হিসাবে যে মন্তব্য করেছেন, সেটা তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। কিন্তু সংগঠনগতভাবে প্যানেল বাতিলের পক্ষে নয় এসএফআই।
দিকে, বিকাশের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিপক্ষে মত দিয়েছে সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ। মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে এবিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেছেন, ‘‘পুরো ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পক্ষে আমরা নই। কারণ, এই প্যানেলে বহু যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। যাঁরা আগে চাকরি করতেন, কিন্তু উচ্চ বেতনের জন্য তাঁরা ফের এই পরীক্ষাটা দিয়েছিলেন। তাছাড়া কাছাকাছি স্কুলে আসার জন্য অনেকেই পরীক্ষা দিয়েছেন। ফলে সবাই যে অযোগ্য, এটা আমরা বলতে পারি না। যোগ্যদের চাকরি বহাল রাখার জন্য আমরা সুপ্রিম কোর্টে দু’জন নাম করা আইনজীবীও দিয়েছি।’’