সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং প্যারাটিচাররা মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার মাধ্যমিক নিয়ে আরও কড়াকড়ি পর্ষদ। গতবছরের পর এবারও সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং প্যারাটিচাররা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না বলেই জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
সাধারণত মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার নিয়ম নেই। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়। তাই সেই সমস্ত অভিভাবকরা যাতে কোনওভাবেই পরীক্ষার্থীদের টুকলির কাগজ বা মোবাইল ফোন দিতে না পারেন তার জন্য এবার অভিভাবকদের দেহ তল্লাশি করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
পর্ষদ সভাপতি জানান, অতীতে অনেক ঘটনা ধরা পড়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, একাধিক অভিভাবককে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের টুকলি অথবা মোবাইল ফোন দিয়েছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভাপতি জানান, পুলিশ অভিভাবকদের দেহ শুধু পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময়ই তল্লাশি চালাবে না বের হওয়ার সময়ও তল্লাশি চালাবে।
এ প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানান, অতীতে এমন ঘটনাও ঘটেছিল যেখানে দেখা গিয়েছিল এক পরীক্ষার্থীর সদ্যোজাত সন্তান রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তখন তার এক আত্মীয় জানান যে তার শিশু মায়ের দুধের জন্য কান্নাকাটি করছে। তখন মহিলা ওই শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকেন। সেই অজুহাতে তিনি পরীক্ষার্থীকে টুকলির কাগজ দিয়ে যান। পরে জানা যায়, সেই পরীক্ষার্থীর আদৌও কোনও সন্তান ছিল না। পুরোটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছিল।
রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ১০ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে। এতো পরীক্ষার্থীর দেহ পরীক্ষা করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। সেই কাজ শিক্ষকরাই করবেন। তবে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কোনও অভিভাবক পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের দেহ পরীক্ষা করবে।