রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রটন্তী চতুর্দশীতে নন্দকুমার প্রতিষ্ঠিত নলহাটির গুহ্যকালী মন্দিরে উপচে পড়ল ভক্তদের ভিড়

January 30, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রটন্তী চতুর্দশী সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠা দিবস, দুই উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মহারাজ নন্দকুমার প্রতিষ্ঠিত নলহাটির গুহ্যকালী মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ল। সকাল থেকে পুজো, বলিদান, যজ্ঞ চলেছে মন্দিরে। দূরদুরান্ত থেকে বহু মানুষ গুহ্যকালীর কাছে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছিলেন। কথিত আছে, পুরাকালে মগধের রাজা জরাসন্ধ পাতালে এই কালীর সাধনা করতেন। গয়াকে মগধ তখন বলা হত। জরাসন্ধের মৃত্যুর পর বহুদিন মাটির নীচে থেকে যায় কালী মূর্তি। রাজস্থানের রানি অহল্যা বাঈ কিছুদিন মগধে আসেন। সেই সময় শিবের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি মগধের একটি জায়গায় খনন কার্য চালান। কষ্টি পাথরের বেদি সমেত কালীমূর্তি পান। জায়গাটি কাশীরাজ চৈত্য সিংয়ের। মূর্তিটি তাঁকে দিয়ে দেন।

তদানীন্তন ইংরেজ শাসক ওয়ারেন হেস্টিংস ইংল্যান্ডের মিউজিয়ামে মূর্তিটি নিয়ে যেতে চান। হেস্টিংসের হাত থেকে বাঁচতে রাজা চৈত্য সিং কাশীর দশাশ্বমেধ ঘাটের কাজে গঙ্গার নীচে মূর্তিটি লুকিয়ে রাখেন। মহারাজ নন্দকুমার কাশী পৌঁছন। তিনি বাংলা, বিহার, ওড়িশার নবাব সিরাজদৌল্লার অধীনে বাংলার দেওয়ান ছিলেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তিটিকে গঙ্গা থেকে উদ্ধার করে জলপথে হুগলি, মুর্শিদাবাদ হয়ে দ্বারকা নদ পেরিয়ে ব্রাহ্মণী নদীর ধারে আকালিপুর গ্রামে আসেন নন্দকুমার। এরপর নদী তীরবর্তী বটগাছের নীচে মূর্তিটি রেখে পুজোপাঠ শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি মায়ের মন্দির নির্মাণ শুরু করেন। মা ভয়ঙ্কর দর্শনা। সাপের কুণ্ডলীর উপর পদ্মাসনে অধিষ্ঠিত। দেহের অলঙ্কারও সাপের। সাপের আকৃতির চুড়ি, নুপুর, মাথায় সহস্র নাগের ফনা যুক্ত মুকুট। ঘাগরা পরে থাকেন দেবী।

কথিত আছে, বন্দিদশায় মহারাজ নন্দকুমার শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে মন্দির নির্মাণ শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাঁর ছেলে গুরুদাস রায় মাঘ মাসে রটন্তী কালীপুজোয় অসম্পূর্ণ মন্দিরে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। দু’টি তিথিকেই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস ধরে বহুকাল থেকে এই বিশেষ পুজো হয়ে আসছে। পুজোর ২৪৯ বছর অতিক্রান্ত হল। বছরের এই দিনটিতে মাকে স্বর্ণালঙ্কারে সাজিয়ে প্রথমে চলে নিত্যপুজো। বিশেষ পুজো ও বলিদান, হোম চলে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#devotees, #Ratanti Chaturdashi, #Guhyakali Temple

আরো দেখুন