আজ থেকে সরবরাহ হতে চলেছে নয়া সংস্থার রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রিঙ্গার ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইন সরবরাহকারী সংস্থার বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ, স্যালাইন ও ইঞ্জেকশন সরবরাহ বন্ধ করেছে রাজ্য। যার মধ্যে আরএল, এনএস সহ ১৪টি ধরনের স্যালাইন ও অপরিহার্য ওষুধপত্র রয়েছে। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সরবরাহ হতে চলেছে নয়া সংস্থার রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন।
বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় রাজ্যজুড়ে ৬৫ হাজার বোতল স্যালাইন আসছে। ১০ ফেব্রয়ারি থেকে পরপর স্যালাইন আসবে। ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ধাপে ধাপে আসবে স্যালাইন। রোজ প্রায় ৮৫-৯০ হাজার বোতল আরএল স্যালাইন আসার কথা। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে বছরে ৬০ লক্ষ বোতল আরএল স্যালাইনের প্রয়োজন পড়ে। মাসে গড়ে ৫ লক্ষ। সিএমএস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সরবরাহ বন্ধ হওয়া আরও ১৩ ধরনের ওষুধ ও ইঞ্জেকশনের বিকল্প ব্যবস্থার জন্য রাজ্য ফের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কর্ণাটকে বিতর্ক হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিতর্কিত নির্মাতা সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের চোপড়ার কারখানা থেকে রিঙ্গার ল্যাকটেট ইঞ্জেকশনের একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করিয়েছিল। ১৫ জানুয়ারি পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। সবক’টি নমুনার রিপোর্ট সন্তোষজনক। ৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট নির্মাতা সংস্থারই চোপড়ার কারখানায় কেন্দ্র-রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারদের যৌথ পরিদর্শন করে গুরুতর খামতি পেয়েছিল। সরকারি হাসপাতালে তাদের সরবরাহ বন্ধ করার সুপারিশ দেয় পরিদর্শনকারী দল। স্যালাইন বিতর্কের নিরসনের জন্য এখন সকলের চোখ ঘটনার পর সংগ্রহ করা বিতর্কিত ব্যাচের আরএল-এর নমুনার পরীক্ষা রিপোর্ট। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধ্বে সেই রিপোর্ট আসতে পারে বলে খবর।