মোদী জমানায় ১৪ বছরে কমেছে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান! NSO-র রিপোর্টে তোলপাড় দেশ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাজেটের আগে কর্মসংস্থান নিয়ে ফের অস্বস্তিতে মোদী সরকার। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (NSO)-র প্রকাশিত তথ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসের ক্ষেত্রও রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। বেকারত্বের পর এবার উৎপাদন ক্ষেত্রেও হাহাকার দেখা গিয়েছে। পরিসংখ্যানই বলছে, মোদী সরকারের শাসনে আনইনকর্পোরেটেড উৎপাদন ক্ষেত্রের চাকরিতে ব্যাপক ধস নেমেছে। ২০১০-১১’র তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বেকার অন্তত ১২ লক্ষ মানুষ। কর্মসংস্থান গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: মোদী আমলে কর্মসংস্থান বেড়েছে? কেন্দ্রের দাবি ও গণনা পদ্ধতি ঘিরে সংশয়ের মেঘ
বুধবার NSO-র ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই আনইনকর্পোরেটেড উৎপাদন সেক্টর সংক্রান্ত বার্ষিক সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা অংশীদারিত্বে চলা লেদ, গ্রিল ইত্যাদি ধরনের ক্ষেত্রে কর্মীসংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে অনথিভুক্ত উৎপাদন ক্ষেত্রে চাকরি করছেন ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ। ২০১০-১১ অর্থবর্ষে ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষের হাতে কাজ ছিল। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ১৪ বছরে মোট ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদীর প্রতিশ্রুতি মতো অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হয়নি, বেকারত্বর জ্বালায় গ্রামে ফিরছে মানুষ
অদ্ভুত বিষয় হল, ১৪ বছরে কর্মসংস্থান বাড়েনি অথচ এধরনের সংস্থা ১ কোটি ৭২ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ১৪ লক্ষ। অথচ কর্মসংস্থান বাড়েনি। এই বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার কারণ কী? এনিয়ে মোদী সরকারের নীতিগত ব্যর্থতাকেই দায়ি করছেন NSO-র প্রাক্তন কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান পি সি মোহনন। তাঁর মতে, মোদী জমানায় নোট বাতিল, GST চালু, করোনা কালে অপরিকল্পিত লকডাউনের ধাক্কা কর্মসংস্থানে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। যা এখনও সামলে উঠতে পারেনি আনইনকর্পোরেটেড ক্ষেত্রগুলি। পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনের মতে, মোদী সরকারের ওই সব নীতির কারণে পুরনো অনেক সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন কমছে। ফলে চাহিদার অভাবে মার খাচ্ছে উৎপাদন সেক্টরগুলো। তাই স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে কর্মসংস্থানে।