অবৈধ নির্মাণ ভাঙার পর মালিকরা চাইলে সরকার ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করে দেবে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কয়েক সপ্তাহ আগে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে একটি বহুতল হেলে পড়ার খবর সামনে আসে। দু’টি বহুতল পরস্পরের দিকে হেলে গিয়েছিল। সবুজ রঙের একটি বাড়ি বেশি হেলে গিয়েছিল। এরপর নির্মীয়মাণ বহুতলের লোড কমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার বহুতলটি ভাঙতে গিয়েছিল পুরসভার ডেমোলিশন টিম। তাঁদের দেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। গেটে তালা ঝুলিয়ে পুরকর্মীদের ঢুকতে দেননি বাসিন্দারা। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে ফিরে আসতে বাধ্য হন পুরকর্মীরা।
তবে শুক্রবার ফের ঘটনাস্থলে যান। আবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ফ্ল্যাট মালিকরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টাও করেন। কিন্তু বাড়ির ছাদে উঠে ভাঙার কাজ শুরু করেন পুরকর্মীরা। ছাদ এদিনই ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে পুরসভার দাবি। মেয়র বলেছেন, ‘এ ধরনের অবৈধ নির্মাণ ভাঙার পর মালিকরা চাইলে সংশ্লিষ্ট জমি সরকারকে দিতে পারেন। সরকার বাংলার বাড়ি করে দেবে। তাতে সংশ্লিষ্ট জমির মালিক বা ঠিকা জমির প্রজা ছাড়াও ভাড়াটিয়ারাও উপকৃত হবেন। প্রত্যেকেই ফ্ল্যাট পাবেন।’
পুরসভার আধিকারিকরা জানান, বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বা ঠিকা জমি থাকতে হবে। তিন-চারতলা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্য কোথাও বাড়ি, ফ্ল্যাট বা জমি থাকা চলবে না।’ অন্যদিকে কোন সংস্থা হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে (লিফটিং) পারদর্শী, তাদের নাম সরকারিভাবে নথিভুক্ত করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। এলবিএ’দের মতোই বাড়ি লিফটিং সংস্থাকে বিল্ডিং বিভাগের তালিকাভুক্ত করা হবে। সে কাজে আগ্রহপত্র ডাকা হবে। যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে হবে নথিভুক্তি। এদিন তাই জানিয়েছেন মেয়র। সম্প্রতি এই কাজে পারদর্শী হরিয়ানার একটি সংস্থাকে ডেকে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা সোনারপুরে গিয়ে লিফটিং সংস্থার কাজ খতিয়ে দেখেও আসেন। সেই সংস্থা তাদের নথিপত্র পুরসভার কাছে জমা করেছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, হরিয়ানার সংস্থাটি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু নথিপত্র না দেখে, যোগ্যতা বিচার না করে সরকার কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে পারে না। মেয়র বলেন, পুরসভা কিছুদিনের মধ্যেই বিজ্ঞাপন দেবে। আগ্রহপত্র চাওয়া হবে। ইচ্ছুক সংস্থাগুলি আবেদন জানালে কাগজপত্র দেখে যোগ্যতা যাচাই হবে।