১ লক্ষ কোটি কর ছাড়ের কথা বললেও ঘুরপথে জিএসটিতে ফিরবে ৪০ হাজার কোটি

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাজেটে আয়করে বড় ধরনের সুবিধা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আয়কর কাঠামোয় পরিবর্তনের পাশাপাশি কর দেওয়ার নিয়ম সহজ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর জন্য সরকারের রাজস্ব আদায় কমবে এক লক্ষ কোটি টাকা! যদিও সেই টাকার ৪০ শতাংশই ঘুরপথে ফেরত আসবে রাজকোষে। আয়করে ছাড়ের আড়ালে এমনই ‘ফিকির’ মোদী সরকারের— স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে।
বাজেট ঘোষণার পর তারা জানিয়ে দিল, আয়করের বোঝা কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ খরচের প্রবণতা বাড়াবে। তাঁরা আরও কেনাকাটা করবেন। আর তার জেরেই আগামী অর্থবর্ষে জিএসটি বাবদ সরকারের ঘরে ফিরে আসবে ৪০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, সরকার যতটা রাজস্ব কমার কথা বলছে, বাস্তবে তা হবে না। রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়কর বাঁচিয়ে মানুষ এক বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকার খাবার ও পানীয় কিনতে পারেন। পরিবহণে খরচ হতে পারে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। বৈদ্যুতিন ও ভোগ্যপণ্যে খরচ হতে পারে ২৩ হাজার কোটি টাকা। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে শিক্ষা খাতে। এছাড়াও জামাকাপড়, বিনোদন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেও বিপুল খরচ হবে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বছরে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হতো না। ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে শর্তসাপেক্ষে সাত লক্ষ টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবার সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে দেশের আয়করদাতাদের এক বছরে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই টাকায় তাঁরা যা কিনবেন, তার উপর গড়ে ১২ শতাংশ হারে জিএসটি কার্যকর হলে আদায় হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
এসবিআইয়ের দাবি, নতুন করকাঠামো অনুযায়ী সরাসরি উপকৃত হবেন ৫ কোটি ৬৫ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে বছরে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগেরে ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করবেন। আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকার জিনিস কিনতে পারেন তাঁরা। আর যাঁদের রোজগার বছরে ১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা, তাঁরা খরচ করবেন সামগ্রিকভাবে ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।