এনবিএফসি কোম্পানিগুলির উপর নজরদারি চালাতে আলাদা একটি নিয়ামক সংস্থা করছে রাজ্য

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৩ সালে সারদা, রোজভ্যালি সহ কয়েকটি চিটফান্ড কোম্পানির কেলেঙ্কারি সামনে আসে। প্রতারিত হন কয়েক কোটি আমানতকারী। অভিযোগ—সেবি, আরবিআইয়ের অনুমতি ছাড়াই বাজার থেকে তারা টাকা তুলেছিল। তদন্তে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্র নিজের ঘাড় থেকে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে অভিযোগ করে যে, রাজ্য প্রশাসন এই সমস্ত সংস্থার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি। সেই কারণেই চিটফান্ড সংস্থাগুলির রমরমা হয়েছিল।
এনবিএফসি কোম্পানিগুলি সেবি বা আরবিআইয়ের নিয়ম মেনে টাকা তুলছে কি না তা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট নিয়ামক সংস্থার। কিন্তু তাদের একটা বড় অংশকে ‘ম্যানেজ’ করে ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে। তাই কেন্দ্রের উপর আর ভরসা করতে রাজি নয় রাজ্য। দিল্লির মতো আলাদা একটি নিয়ামক সংস্থা করতে চাইছিল তারা। সেই কারণে ডিরেক্টরেট অব অফেন্সেসকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে নবান্ন।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলায় দক্ষ এই শাখা আরওসি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবি সহ যে-সমস্ত এজেন্সি এনবিএফসিকে ব্যবসা করার অনুমতি দেয় সেখান থেকে তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু করেছে। ওই কোম্পানিগুলির হেড অফিস বা শাখা কলকাতা তথা রাজ্যের কোথায় কোথায় রয়েছে, রাজ্যের ডেটাবেসে সেগুলি থাকবে। ডিইওর তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলিকে কেবল কেন্দ্রীয় এজেন্সির ছাড়পত্র নিলেই হবে না, এখানে ব্যবসা করলে রাজ্যের কাছেও নাম নথিভুক্ত করতে হবে। নাম তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানির ডিরেক্টর কারা রয়েছেন, তাঁদের ঠিকানা কী, কতজন আমানতকারী ও এজেন্ট রয়েছেন, আমানতকারীদের কাছ থেকে কী শর্তে কত টাকা তোলা হয়েছে, তাঁদের টাকা ফেরানোর জন্য পরিকল্পনা কী রয়েছে, চার্ডার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কারা রয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ ব্যালান্স শিটের হিসেবসহ সমস্ত নথি তিনমাস অন্তর আপডেট করতে হবে।