দেশে গতবছরের তুলনায় ব্যক্তিগত ঋণের চাহিদা কমেছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের আর্থিক ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে যে সংস্থাগুলি, তার মধ্যে অন্যতম ট্রান্সইউনিয়ন সিবিল। তাদের একটি রিপোর্ট বলছে, চলতি আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সামগ্রিক ঋণ প্রদানে বিরাট সাফল্য আসেনি। গতবছরের তুলনায় ব্যক্তিগত ঋণ প্রদানের হারও এগোয়নি।
সিবিল জানাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া তিনমাসে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার হার বেড়েছে ১১ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ছিল ৩২ শতাংশ। গৃহঋণের হারও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় কমে গিয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিল। তাদের তথ্য বলছে, সেবার গৃহঋণ ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেষ তিনমাসে তা ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে। অর্থাৎ ঋণের সার্বিক অঙ্ক গত অর্থবর্ষের ওই সময়ের নিরিখে নেমেছে।
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে ক্রেডিট কার্ড মারফত নেওয়া ঋণ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ছিল ৯ শতাংশ। তার বৃদ্ধির হার এবার হয়ে গিয়েছে ঋণাত্মক—কমেছে ২৪ শতাংশ। কমেছে ভোগ্যপণ্যের জন্য নেওয়া ঋণের হারও—তা গত অর্থবর্ষের তুলনায় কমেছে ৬ শতাংশ। তাহলে ঋণের বাজার ভালো গেল কোন কোন ক্ষেত্রে? সিবিল রিপোর্ট বলছে, সম্পত্তি বন্দক রেখে ঋণ নেওয়ার হার এবার বেড়েছে ৩ শতাংশ। দু’চাকা গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার হারও ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে তাদের যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি আশানুরূপ না-হলেও, বেড়েছে স্কুটার ও বাইকের বিক্রি।