ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করবে স্বাস্থ্যদপ্তরে আধিকারিকরা, কেন জানেন?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে হানা দেবে ড্রাগ কন্ট্রোল। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিপুল ছাড়ে পাওয়া জীবনদায়ী ওষুধের গুণমান যাচাই করতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে আধিকারিকরা। সোমবার প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্যভবন এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের সব ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ওষুধের ব্যাচ নম্বর মিলিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যে ল্যাবরেটরিতে সেগুলি তৈরি হয়েছে দরকার হলে সেখানেও হানা দেবে ওয়েস্টবেঙ্গল ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। বিশেষ করে শিশু এবং প্রসূতিদের জন্য জরুরী ওষুধ খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখা হবে। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে আরও জানা গিয়েছে যে, এবার থেকে প্রতি সপ্তাহেই রাজ্যের সমস্ত ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের শেষ থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলার কাজ শুরু হয়। এই মুহূর্তে বাংলায় ১১৮টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান আছে। যেখানে গড়ে ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে ওষুধ বিক্রি করা হয়। যেখানে ১৪২ ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনে গন্ডগোল, বারুইপুরে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ওষুধ তৈরিতে গড়মিল ধরা পড়ার ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করার জন্য ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে হানা দেবে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।