গরিব মানুষের জ্বালানি কেরোসিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে না, নিয়মিত বাড়ছে দাম

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে রেশন গ্রাহকদের জন্য সরবরাহ করা কেরোসিনে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত মূল্যের ওঠানামার ভিত্তিতে প্রতি মাসে রেশনের কেরোসিনের দাম বাড়ে বা কমে। বাস্তবে অধিকাংশ মাসে দাম বৃদ্ধি হয়। বাজেট পেশের মাস ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি রেশনের কেরোসিনের ইস্যু প্রাইস লিটারে ৩ টাকা ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। ফলে প্রতি লিটার কেরোসিনের বিক্রয় মূল্য এমাসে বেড়ে ৬৪ টাকার আশপাশে হবে। তেল সংস্থার ইস্যু প্রাইসের ভিত্তিতে প্রতি মাসে রেশনে কী দামে কেরোসিন তেল বিক্রি হবে, তার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য খাদ্যদপ্তর।
কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের অভিযোগ, কেরোসিনের দাম প্রচুর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অধিকাংশ গ্রাহক তাঁদের বরাদ্দ সংগ্রহ করছেন না। ডিলারদের রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত জানিয়েছেন, এখন রাজ্যের মাসিক কেরোসিনের বরাদ্দ কমিয়ে ২০ হাজার কিলোলিটারের কম করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও পুরো কোটার কেরোসিন তোলা যাচ্ছে না। দাম কম থাকলে এটা হতো না। ডিলারদের অভিযোগ, ভর্তুকি শূন্য করে দেওয়ায় রেশনে কেরোসিন সরবরাহের মাধ্যমে লাভ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ তা না হলে রেশনের কেরোসিনের উপর মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি থাকা সত্ত্বেও এত বেশি দাম হওয়ার কথা নয়।
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, রান্নার গ্যাসের জন্য ভর্তুকি দিতে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে মোট ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবে যে বরাদ্দ ছিল, তার থেকে ২৮০০ কোটি টাকা বেশি খরচ করা হয়েছে এই খাতে। সেখানে গরিব মানুষের জ্বালানি কেরোসিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবারও এক পয়সা ভর্তুকি দেয়নি।