প্রকল্প রূপায়ণ নয়, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ নিয়ে প্রচারেই বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র, খরচ করছে কোটি কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ এবার ১০ বছরে পা দিল। তবে প্রকল্প রূপায়ণ নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের এই ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ নিয়ে প্রচারেই বেশি জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২২-২৩, গত ন’ বছরে এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ৭৭৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে স্রেফ প্রচারেই খরচ হয়েছে ৪০১ কোটি ৪ হাজার টাকা।
বুধবার কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক আয়োজন করেছিল এক বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলনের। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রকের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানান, প্রচারে জোর দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প। পুরুষ-মহিলা জন্মহারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষে প্রতি হাজার পুরুষে মহিলা জন্মহার ছিল ৯১৮। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা হয়েছে ৯৩০। বালিকাদের স্কুলে ভর্তির হারও বেড়েছে। ইউপিএ আমলের শেষদিকে তা ছিল ৭৫.৫ শতাশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই হার বেড়ে ৭৯.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তাই বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের প্রচারে জোর দিয়ে সরকার কোনও অন্যায় করেনি বলেই বোঝাতে চেয়েছেন অন্নপূর্ণা দেবী।
মোদি সরকার এখন বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও কমর্সূচিকে ‘সম্বল’ নামে একটি প্রকল্পের অধীনে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে নারী আদালত, ওয়ান স্টপ সেন্টার, মহিলা পুলিস ভলান্টিয়ার, উওমেনস হেল্প লাইনের মতো কর্মসূচি। গতবার বাজেটে ‘সম্বলে’র জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৬২৯ কোটি টাকা। কিন্তু পরে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৪২২ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা করা হয়। আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবর্ষে ফের বরাদ্দ হচ্ছে ৬২৯ কোটিই। কিন্তু কেন ২০৬ কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে? মন্ত্রক কি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি রূপায়ণে পয়সা খরচই করতে পারেনি? শুধু প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে? জানতে চাওয়ায় অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, ‘হ্যাঁ। প্রচারে জোর দেওয়ারই জন্যই এই প্রকল্প। এর ফলে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তাই প্রচারে জোর দেওয়াই লক্ষ্য।’