তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিনটি সরকারি ব্যাঙ্ককে স্টেক বিক্রি করে ফান্ড সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্ট (QIP)-এর জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ফলে এই সমস্ত ব্যাঙ্কে সরকারের অংশীদারিত্ব আরও খানিক কমবে। যথাক্রমে, ইউকো ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব ও সিন্ধ ব্যাঙ্ক ও ইন্ডিয়ান ওভারসি ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব আগামী অর্থবর্ষের মধ্যেই বিক্রি করে দিতে পারে মোদী সরকার।
তবে পুরোটাই নির্ভর করছে বাজার পরিস্থিতির উপর। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে লাইভ মিন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ২০২৬ অর্থবর্ষের মধ্যেই কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্টের আয়োজন করতে পারে ব্যাঙ্কগুলি। যাতে সেবি-এর নিয়মকে মান্যতা দেওয়া যায়।
একটি সূত্রের দাবি, “কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বাজার পরিস্থিতি বুঝে কৌশলগতভাবে শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনা করতে বলেছে।” পাশাপাশি ইক্যুইটির দর মূল্যায়নের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই বছর বিক্রির পরিমাণ প্রদত্ত ইক্যুইটি মূলধনের ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকবে। সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে মিনিমাম পাবলিক শেয়ার হোল্ডিং নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করার জন্য ২০২৬ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছে সেবি। অন্য দিকে, লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন বা এলআইসি-কেও ২০২৭ সালের ১৬ মে-এর মধ্যে ১০ শতাংশ পাবলিক শেয়ার হোল্ডিং নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২টি সরকারি ব্যাঙ্কের মধ্যে ৭টি ব্যাঙ্ক সেবি-এর নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে। সেগুলি হল – এসবিআই, পিএনবি, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তবে ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও এই শর্ত পূরণ করেনি।
উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ৯৩.০৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এছাড়া ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রে ৭৯.৬০ শতাংশ, ইউকো ব্যাঙ্কে ৯৫.৩৯ শতাংশ, পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কে ৯৮.২৫ শতাংশ এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে ৯৬.৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এখন সেবি-এর নিয়ম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অংশীদারিত্ব কমানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।