রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

লেফট স্ট্রিম! CPI(M) নামের ছায়া থেকে বেরোতে কেন মরিয়া কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা?

February 16, 2025 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বঙ্গের একেশ্বরী সিপিএম অধুনা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে মরিয়া। কিছুতেই ‘শূন্য’ তকমা ঘোচাতে পারছে না সিপিএম। এবার কি ‘সিপিএম’ নামটা থেকে দূরে থাকার অবস্থান নিচ্ছে তারা?
দলের ছাত্রযুবদের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে কোথাও সিপিএমের নাম নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে শুরু করে প্রচার, কর্মসূচি সফল করার আহ্বান; সবটাই করা হচ্ছে ‘লেফট স্ট্রিম’-র ব্যানারে! একদা লাল দূর্গ যাদবপুরে ঘটছে এই ঘটনা!

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের মতে, ফ্রন্টের বৃহত্তম শরিকেরা মনে করছে, সিপিএম নাম শুনলেই মানুষ ‘বিরক্ত’ হচ্ছে। তাই নয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বামফ্রন্টের নাম বদলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সে প্রক্রিয়াই শুরু হল কি? বাম শিবিরে অন্দরে উঠছে প্রশ্ন।

সমাজ মাধ্যমে লেফট স্ট্রিম নামে একটি পেজ খোলা হয়েছে। ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের যাদবপুর ১ এরিয়া কমিটির বাম সংগঠনগুলির ‘অফিসিয়াল মিডিয়া হ্যান্ডেল’ এটি। আজ, ১৬ ফেব্রুয়ারি যাদবপুরে রক্তদান, দেহদানের অঙ্গীকার, স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করেছে তারা। আম জনতার কাছে পৌঁছতে ‘সিপিএম’ নামটি আর যথেষ্ট নয়? যাদবপুর ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চক্রবর্তীর দাবি, ছাত্র-যুবদের দেওয়া নাম থেকেই লেফট স্ট্রিম নামটি পছন্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নেই। মূলত সিপিএমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠনগুলিই রয়েছে লেফট স্ট্রিম নামের আওতায়।

সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, এরিয়া কমিটি পেজ খোলেনি। ছাত্র-যুবরা করেছে বিকল্প ভাবনাচিন্তা মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মানুষ সহজেই বুঝতে পারবে, এটা কারা করছে। বিকল্প নাম ব্যবহার করে যত বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা। এখানে জিইয়ে উঠছে প্রশ্ন, সিপিএমের নামে আম জনতার মোহভঙ্গ বলেই কি লেফট স্ট্রিমের উদয়?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Cpim

আরো দেখুন