রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিজেপি’র বিভাজনের রাজনীতিকে বিধানসভায় তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

February 18, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপক বক্তৃতায় শুভেন্দুকে জবাব দিতে গিয়ে পুরনো সেই দু’টি ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাসপেন্ড হওয়ার পর সোমবার শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় স্পিকারের দিকে কাগজের গোছা ছুড়ে দিয়েছিলেন। ভাঙচুর করেছিলেন বিধানসভা। আজকে তারা শিষ্টাচার শেখাবে?’’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বলছে আমি কেন কাগজ ছুড়েছিলাম! মনে রাখবেন, ২০০৪ সালে আমি একা হয়ে গেছিলাম (লোকসভায়)। তখন আমি একা ছিলাম। আর আপনারা (বিজেপি) সংখ্যায় কত?’’ এর পরেই মমতা বোঝাতে চান, সেই সময়ে সংসদে তাঁর সঙ্গে কী আচরণ করা হত। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘তখন সাত দিন ধরে নোটিস দেওয়ার পরেও আমায় কথা বলতে দিত না। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি মিলে করত। প্রশ্ন করতে দিত না, বক্তৃতা করতে দিত না।’’

এর পরেই বিধানসভা ভাঙচুরের প্রসঙ্গ টানেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমায় যখন সিঙ্গুরে ঢুকতে দিচ্ছিল না, তখন আমি ফিরে বিধানসভায় এসেছিলাম। তৎকালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়েছিলাম। ওদের (বামেদের) কাছে যাইনি। আমার সহকর্মীরা সে দিন ক্ষুব্ধ ছিলেন। কিন্তু আমি কোনও জিনিসে হাত দিইনি। এখনও প্রমাণ আছে।’’

মঙ্গলবার সরস্বতী পুজো নিয়ে বিজেপির করা অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিভাজন রাজনীতিকে তুলোধোনা করলন। মমতা বিধানসভায় বললেন, “আমরা আছি বলে বাংলা এখনও শান্ত আছে। বাংলাদেশ এই পরিস্থিতির পরও তার আঁচ রাজ্যে পড়েনি। এটা সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাংলা। এটা সব ধর্মের দান। এটা সব জাতির মানুষের দান।” এর পরই শুভেন্দুকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “আপনারা তো বর্ডারে গিয়ে উসকেছিলেন। বাংলার মানুষকে উসকেছিলেন। ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাটা দেশের মধ্যেই, দেশের বাইরে নয়।”

মমতার কথায়, “বাংলা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য।” মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়েছেন, বাংলার সঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকা যুক্ত। বাংলা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশপথ। বাংলা সিকিমের প্রবেশপথ। বাংলা ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক দুই নিরাপত্তার জন্যই বাংলা গুরুত্বপূর্ণ।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এ হেন রাজ্যকে ‘উসকানি’ দিয়ে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ছিল বলেই সেটা সম্ভব হয়নি।

এদিন কুম্ভমেলা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বলছে নাকি ৩০ জন মারা গিয়েছে? কত ? হাজার হাজার। পবিত্র জল এখন বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। মৃতদেহ নিয়ে যারা হাইপ তুলছেন আর কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন তাদের আমি ঘৃণা করি।’

এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘এইসব সিরিয়াস বিষয় নিয়ে এত হাইপ তুলতে নেই। প্রপার প্ল্যানিং করতে হয়। মহাকুম্ভে এত লোক মারা গেল। কটা কমিশন করেছেন? এমনকি আমার রাজ্যে যে ডেডবডি এসেছে তাতে একটা ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেন নি। এরপর তো বলবেন যে হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে যাতে ক্ষতিপূরণ দিতে না হয়।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #bjp, #tmc, #politics, #assembly

আরো দেখুন