এলিফ্যান্ট ট্যুরিজম হাব তৈরি হচ্ছে ধূপঝোরায়, দিনভর হাতিদের খুনসুটি চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে বনদপ্তরের ছ’টি কটেজ আছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ডিসেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলি। পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে ওই কটেজগুলিতে কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকছে না। অন্ধকার গাঢ় হলেই জ্বলে উঠবে সৌরবাতি। ওই কটেজে থেকে পর্যটকরা জঙ্গল, চা বাগানের পাশাপাশি মূর্তি নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ক্যাম্পাসেই পিলখানা। সেখানে দিনভর হাতিদের খুনসুটি চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। ওখান থেকেই সুযোগ রয়েছে হাতি সাফারির। তাছাড়া নদীতে হাতিদের স্নান দেখতে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ দূরত্বে তৈরি হচ্ছে সেলফি জোন। হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে পারবেন এখানে আসা পর্যটকরা।
গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, ধূপঝোরাকে কেন্দ্র করে এলিফ্যান্ট ট্যুরিজম হাব তৈরির চেষ্টা চলছে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র বনবাংলো বুকিং কিংবা এলিফ্যান্ট রাইড থেকে টাকা আয়, এটাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। পর্যটকরা যাতে হাতিদের কাছাকাছি থেকে তাদের আরও ভালোভাবে জানতে পারেন সেটাই হবে মূল লক্ষ্য। হাতির সঙ্গে মানুষের আরও ভালোভাবে সখ্যতা গড়ে উঠুক, সেটাই চাইছি আমরা।
দীর্ঘ প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর চলতি মাসেই খুলে যাচ্ছে পানঝোরা ইকো কটেজ। ওখানে চারটি বনবাংলো রয়েছে। একদিকে পাহাড়ি মূর্তি নদী, অন্যদিকে পাহাড়। চাপড়ামারি জঙ্গল লাগোয়া এই বনবাংলোয় থেকে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।