মোদীর ‘বিকশিত ভারতে’ ৩৫ শতাংশ কোম্পানিরই ঝাঁপ বন্ধ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেজিস্ট্রার অব কোম্পানির আওতায় নথিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বেসরকারি মালিকানার পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও রয়েছে। তথ্য বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থার নিরিখে বেসরকারি কোম্পানির সংখ্যা অনেকটাই বেশি। কেন্দ্র জানাচ্ছে, সারা দেশে যত কোম্পানি আছে, তার ৯৬ শতাংশই বেসরকারি মালিকানার অধীনে। বাকি চার শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে। উল্লেখযোগ্য বিষয়, মূলধনের নিরিখে বিচার করলে হিসেবটি ঠিক তার উল্টো। দেশের সমস্ত কোম্পানিতে যত মূলধন খাটে, তার ৬২ শতাংশই রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি ৩৮ শতাংশ মূলধন বেসরকারি ক্ষেত্রের। কেন্দ্রের দাবি, এই বিপুল সংখ্যক রেজিস্ট্রেশন নেওয়া সংস্থার মধ্যে বিদেশি কোম্পানি আছে ৫ হাজার ২১৬টি। তাদের মধ্যে আবার ৩ হাজার ২৮১টি সংস্থা চালু আছে। বাকিগুলির ঝাঁপ বন্ধ।
কেন্দ্রের তথ্যই বলছে, দেশে রেজিস্টার্ড ২৮ লক্ষ ৫ হাজার কোম্পানির মধ্যে চালু অবস্থায় রয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ ১৭ হাজার কোম্পানি। এখানেই শেষ নয়। আরও ১০ হাজার ৪২৫টি সংস্থার লিকুইডেশন পর্ব শুরু হয়েছে। অর্থাৎ সেগুলিও তালা ঝোলার অপেক্ষায়। অর্থাৎ, মোদীর ‘বিকশিত ভারতে’ প্রায় ৩৫ শতাংশ কোম্পানিরই ঝাঁপ বন্ধ। আর সেকথা স্বীকার করে নিয়েছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকই।
কেন্দ্রীয় সরকারি তথ্যই বলছে, দেশের বেসরকারি মহল কিন্তু মোদী সরকারের উপর বিপুল আস্থা দেখাচ্ছে, এমনটা নয়। বিজেপি সহ অন্য বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তোলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় শিল্পের দশা নাকি করুণ। বাস্তব পরিস্থিতি কী? কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক বলছে, দেশজুড়ে ৩৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে যত সচল কোম্পানি আছে, তার সবচেয়ে বেশি ভাগীদার মহারাষ্ট্র। দেশের ১৯ শতাংশ সংস্থা রয়েছে মারাঠাভূমেই। এরপর দিল্লি। সেখানে সচল কোম্পানির অংশীদারিত্ব রয়েছে ১৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ। দেশের সচল সংস্থার আট শতাংশ বাংলার দখলে। পাশাপাশি আট শতাংশ রয়েছে যোগীরাজ্যের হাতেও। পশ্চিমবঙ্গের সচল কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার। কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক জানাচ্ছে, শুধুমাত্র গত জানুয়ারি মাসেই পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে ৮০৮টি সংস্থা ব্যবসা চালু করেছে। গোটা দেশে সংখ্যাটা ১৬ হাজার ৭৮১টি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই যাবতীয় তথ্যের মধ্যে কিন্তু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প বা এমএসএমই অন্তর্ভুক্ত নয়!