কৃষিজীবীদের পাশে রাজ্য, বাংলা শস্য বিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ পেলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ লক্ষের বেশি কৃষক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলা শস্য বিমার (বিএসবি) আওতায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৫১ কোটি টাকা পেলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের ৯ লক্ষের বেশি কৃষক। খরিফ মরশুমে ধান চাষ করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন যাঁরা, তাঁরাই টাকা পেলেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাংলা শস্য বিমা শুরু করে রাজ্য সরকার। বিএসবি শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লক্ষ কৃষক মোট ৩৫৬২ কোটি টাকা পেয়েছেন।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ডানা। তার জোরালো প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় অতিবৃষ্টির জেরে ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তার আগে ডিভিসির ছাড়া জলে হুগলি, হাওড়া ও বর্ধমান জেলায় ধান চাষের ক্ষতি হয়েছিল। দেশের মধ্যে বাংলাতেই প্রথম ইসরোর উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে ফসলের ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করা শুরু হল। সরকারের দাবি, উপগ্রহ চিত্রের দ্বারা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করে চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হল।
শনিবার, নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এক বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা হয়। রবি ও বোরো মরশুমের জন্য বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে কৃষকদের নথিভুক্তির কাজ কত দূর, তাও খতিয়ে দেখা হয়। রবি ও বোরো মরশুমের জন্য এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষিদপ্তর। আলুচাষির সংখ্যা ১২ লক্ষ ১৩ হাজার। এবারই প্রথম আলু ও আখ চাষিদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না।
বিএসবি চালু হওয়ার সময়ে আলু ও আখ ছাড়া অন্য যেকোনও ফসলের জন্য কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হত না। এই দু’টি ফসলের জন্য সামান্য কিছু প্রিমিয়াম দিতে হত। গত বছরের বাজেটে ঘোষণা করা হয়, তাও দিতে হবে না। ২০২৪-২৫ রবি ও বোরো মরশুম থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বিএসবি’র জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ১,০২২ কোটি টাকা। পরের অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে ১,১২৫ কোটি করা হয়। ২০২৫-২৬ সালে বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ১,৩১৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।