“সকলের বিধায়ক নই, আমি হিন্দুদের বিধায়ক”, শুভেন্দুর মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের সোনাচূড়াতে শিবরাত্রির অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে তিনি বললেন,”আমি শুভেন্দু অধিকারী। আমি সকলের বিধায়ক নই। হিন্দুরা আমাকে এমএলএ করেছেন। আমি হিন্দুদের বিধায়ক। আরও মন্দির গড়ব। সোনাচূড়াতে সাড়ে তিন বিঘা যে জমি আছে, ৬ এপ্রিল সেখানে রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করব।” শুভেন্দুর এহেন বক্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ছক কষছেন শুভেন্দু, নানা মহলে এমন গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, ভারতের সংবিধানে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে স্বঘোষিত বক্তব্যে শুভেন্দু হিন্দুদের রাজা হওয়ার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে দাঙ্গা বাঁধানোর ছক কষেছেন বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের সমস্ত জায়গায় এভাবে উস্কানিমূলক কথা বলছেন। প্রয়োজনে আইনের দরজায় যাবে তৃণমূল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পরিতোষ পট্টনায়কও। তাঁর কথায়, ভোটে জেতার পর কোনও জনপ্রতিনিধি বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের বিধায়ক বা সাংসদ হিসেবে পরিচিত হন না। তিনি সকলের বিধায়ক বা সাংসদ। শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন তা সংসদীয় গণতন্ত্রের লজ্জা। মেকি মানবতা পূজারী। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি।