ভোটার তালিকায় ‘বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর বিধানসভা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এমন ৬১১ জন ভোটারের খোঁজ মিলেছে, যাঁদের সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের (এপিক) নম্বরেই সমসংখ্যক লোক রয়েছে গুজরাত ও হরিয়ানায়। অর্থাৎ এ রাজ্যের ভোটারের এপিক কার্ডের নম্বর এবং বিজেপি শাসিত ওই দুই রাজ্যের এপিক কার্ডধারীদের নম্বর একই। মূলত ‘এক্সওয়াইজেড’ এবং ‘এলপিজেড’ সিরিজের এপিক কার্ডেই এহেন ‘জালিয়াতি’ হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, একই এপিক নম্বরের সবচেয়ে বেশি ৪৮২ জন ভোটার রয়েছেন গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের ৪৮২ জন ভোটারের এপিক কার্ডের যে নম্বর, সেই একই নম্বর গুজরাতের দানিলিমডা, গান্ধীনগর সাউথ, ঘাটলোডিয়া, কালল, নাবোদা, ঠক্করবাপা নগর, গোন্ডল, মানসা ও ভেজালপুর বিধানসভার ৪৮২ জন ভোটারের। রানিগরের এমন ১২৯ জন স্থানীয় ভোটারের খোঁজ মিলেছে, যাঁদের এপিক কার্ডের নম্বরের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে হরিয়ানার বারওয়ালা বিধানসভা কেন্দ্রের সমসংখ্যক নির্বাচকমণ্ডলীর। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ভিন জেলার মানুষের ‘অনুপ্রবেশ’এর ঘটনা সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে শাসকদল তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে একটি ভুতুড়ে রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র বলে অ্যাখ্যা দেন। একধাপ এগিয়ে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বিশেষ অধিবেশন মঞ্চ থেকে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ ছিল, গুজরাত এবং ওড়িশার দুটি সমীক্ষক এজেন্সিকে দিয়ে এ রাজ্যের ভোটারদের ‘ডেটা’ সংগ্রহ করে অনলাইনে এ কাজ করানো হয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, ভোটার তালিকা আর ভোটার কার্ড নিয়ে জালিয়াতি করাটা তৃণমূলের কাজ, তাদের নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনও।