বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করতে গিয়েই দুর্ঘটনা, সুতন্দ্রার গাড়িচালকের স্বীকারোক্তি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গাড়ি উল্টে রবিবার রাতে পানাগড়ের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়৷ প্রথম দিকে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইভটিজিং আছে বলে দাবি উঠেছিল৷ কিন্তু শুক্রবার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেন গাড়িচালক রাজদেও শর্মা৷
তাঁর দাবি, ইভটিজিং তাঁর চোখে পড়েনি। তবে সাদা গাড়ি তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছিল। এরপর ম্যাডামের কথাতেই বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করছিলেন। তিনি বলেন, “সাদা গাড়ি আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মেরেছিল। তখনই সুতন্দ্রা সেই গাড়িকে ধরতে বলে। রাজদেও বারবার চেষ্টা করে এগিয়ে গিয়ে সেই গাড়ি থামাতে। কিন্তু পারেনি। পরে জাতীয় সড়ক ছেড়ে লোকাল রোডে নেমে পড়ে সাদা গাড়ি। তার পিছনে ছুটতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।”
আগেই সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী তাঁর মেয়ের মৃত্যুতে দুই গাড়ির সবাইকে দায়ী করেন। কিছু একটা গোপন করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বুধবারই তিনি বলেছিলেন “কে করছে কেন করছে বলতে পারব না। আমি কনফিউজড।”
এও বলেছিলেন, “আমি সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম সাদা গাড়িটা আগে যাচ্ছে পিছনে আমাদের গাড়িটা খুব জোরে যাচ্ছে।আমার প্রশ্ন এর জোরে কেন চালাচ্ছিল।ও তো দাঁড়িয়ে যেতে পারত। গাড়িতে যারা ছিল তারা কেন ড্রাইভারকে বলেনি এত জোরে না চালাতে। আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। কে আসল দোষী সেটা পুলিশ তদন্ত করুক। যে গাড়ির লোকই দোষী হোক তদন্ত করে পুলিশ বের করুক।”
দুর্ঘটনার পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধরী সাংবাদিকদের বলেন, “মৃতার গাড়ি এবং সাদা রঙের একটি ক্রেটা গাড়ির মধ্যে রেষারেষি চলছিল৷ কোনও ইভটিজিং-এর ঘটনার কথা অভিযোগে উল্লেখ নেই৷ পুলিশ সমস্ত জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে৷ একটি জায়গায় দেখা গিয়েছে, মৃতা যে গাড়িটিতে ছিলেন সেই গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে৷ তারপরও সাদা রংয়ের ক্রেটা গাড়িটির পিছনে ধাওয়া করে মৃতার গাড়ি৷” শেষ পর্যন্ত এই তত্ত্বেই সায় দিল সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িচালক রাজদেও শর্মা৷