দেশের সম্পদ, সম্পত্তি বেচে কত টাকা কোষাগারে ভর্তি করার পরিকল্পনা মোদী সরকারের?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেল, সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, বন্দর ইত্যাদি পরিকাঠামো খাতে খরচ করার টাকা নেই কেন্দ্রের কাছে?
গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো পরিকল্পনা সাজিয়েছে মোদী সরকার। যে মন্ত্রকগুলির পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ সবথেকে বেশি, সে’মন্ত্রকগুলির হাতে থাকা স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে, লিজ দিয়ে বা চুক্তির মাধ্যমে বেসরকারিকরণ করে আয় করা হবে। ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে রেল, বন্দর, জাহাজ, বিদ্যুৎ, পেট্রলিয়াম ইত্যাদি মন্ত্রকের সম্পদ বিক্রি করে বা সম্পদের বেসরকারিকরণ করে অন্তত আড়াই লক্ষ কোটি টাকা আয় করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ নাগাদ প্রথমবারের জন্য অ্যাসেট মানিটাইজেশনের নীতি নেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সরকারি সম্পদ বিক্রি বা বেসরকারি হাতে দিয়ে আয় হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার কোটি টাকা।
বিলগ্নিকরণের দুটি পন্থা নিচ্ছে মোদী সরকার। এক, সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করা বা শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া। দুই, নীতি আয়োগের পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারের সংস্থার অসংখ্য স্থাবর সম্পদের বিক্রি বা সে’সব সম্পদকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া। প্রাথমিকভাবে রেল, টেলিকম, বন্দরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল অ্যাসেট মানিটাইজেশন। ক্রমেই তা সম্প্রসারিত হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এবার এক ধাক্কয় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তালিকায় যুক্ত হয়েছে পেট্রলিয়াম সেক্টর, বিদ্যুৎ মন্ত্রক, খনি এবং জলপথ পরিবহণ মন্ত্রক। ২০২৬ সালের মধ্যে ৬ লক্ষ কোটি টাকা আয় করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। হাতে রয়েছে মাত্র এক বছর। শেষ বছরে কেন্দ্র অন্তত আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তুলতে উদ্যোগ নিচ্ছে!