কন্যাশ্রী প্রকল্পে সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে AI-এর সাহায্য নিতে চলেছে রাজ্য

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাল্যবিবাহ এবং মেয়েদের স্কুলছুট রুখতে কন্যাশ্রী প্রকল্পে সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উদ্যোগী হল রাজ্য। এই প্রকল্পের একজনও আবেদনকারীকে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হতে হয়, সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের এই উদ্যোগ।
এই প্রকল্পের (কন্যাশ্রী ১) অধীনে ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে অবিবাহিত হলে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের বছরে ১,০০০ টাকা করে আর্থিক সহয়তা প্রদান করে রাজ্য। দ্বিতীয় (কন্যাশ্রী ২) পর্যায়ে, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত অবিবাহিত থেকে সফলভাবে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এই ছাত্রীরাই এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। কন্যাশ্রী ১ ও ২ রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর। ফলে প্রতিবছর নতুন করে লক্ষাধিক ছাত্রীর তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করিয়ে যথাসময়ে তাঁদের প্রাপ্য সুনিশ্চিত করা হয়। এক একজন উপভোক্তার নাম, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যসহ এমন অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি বিষয় পোর্টালে তোলার প্রয়োজন পড়ে। ফলে একাধিক ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃতই কিছু তথ্য পোর্টালে ভুল নথিভুক্ত হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার আবেদনের সময়ও ভুল তথ্য প্রদানের মতো সমস্যাও থেকে যায়। ফলে ভুল থেকে যায় সামান্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফএসসি কোডে। দুই ছাত্রীর একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর থাকার মতো সমস্যাও সামনে আসে। এসব কারণে রাজ্য না-চাইলেও কিছু আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান বিলম্বিত হয়।
কিন্তু জানুয়ারি মাসের ‘স্টুডেন্টস উইক’-এর অনুষ্ঠান থেকে ইউনাইটেড নেশনস-এর সেরার শিরোপাপ্রাপ্ত কন্যাশ্রী প্রকল্প পেতে যাতে কারও অসুবিধা না-হয়, সেই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, একেবারে অতিসামান্য সমস্যারও সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এটা করতে গিয়েই এক্ষেত্রে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ ব্যবহারের তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে। ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জায়গায় জায়গায় আয়োজন করা হবে নানা অনুষ্ঠানের। এমন একাধিক অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলাতেও। এই আবহে বাল্যবিবাহ এবং মেয়েদের স্কুলছুট রুখতে কন্যাশ্রী প্রকল্পে সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে রাজ্যের উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।