I-PAC থেকে পিকে ‘Out’ বলেই কি নতুন নির্দেশ মমতার?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে পেশাদার ভোটকৌশলী সংস্থারা। তাদের মধ্যে অন্যতম ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (I-PAC )। একদা প্রশান্ত কিশোর (PK) আইপ্যাকে থাকলেও, ২০২১ সালের পর সংস্থা ছেড়েছেন তিনি। নিজ জন্মভূমি, বিহারে তৈরি করেছেন রাজনৈতিক দল; জন সুরজ। তবে নির্বাচনে সাফল্যের মুখ দেখেননি প্রশান্ত। এখন আইপ্যাক সামলান প্রতীক জৈন। গুঞ্জন শোনা যায়, প্রতীকের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণেই আইপ্যাক ছেড়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
২০২৪- লোকসভা নির্বাচনে যদিও বেশিরভাগ লোকসভা এক্সিট পোল এবং PK নিজেই বিজেপিকে বাংলায় একটি একক-বৃহত্তর দলের মর্যাদা দিয়েছিল, I-PAC বলেছিল যে তৃণমূলের আসনের সংখ্যা ২৫-এর কম হবে না – ২০১৯ সালে তারা যা জিতেছিল তার চেয়ে তিন বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ২৯টি আসন জেতে এবং I-PAC প্রমাণ করেছে যে তাদের সংস্থা আরও বড় হয়েছে, PK-র ছায়ার বাইরে বেরিয়ে।
২০২১ সালে প্রশান্ত কিশোরের আনুষ্ঠানিক প্রস্থানের পরে, I-PAC এর তিন পরিচালক-ঋষি রাজ সিং, ভিনেশ চন্দেল এবং জৈনের নেতৃত্বে রয়েছেন। বাংলার আবহে ১০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতীক এরাজ্যে বড় নির্বাচনী সাফল্যের কৌশল নিয়ে গর্ব করতে পারেন, যা সবই কঠিন তথ্য ও গবেষণার দ্বারা সমর্থিত।
যদিও তার প্রাক্তন সহকর্মী প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের জন্য একটি ধাক্কার খাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, প্রতীক জৈন তাকে ভুল প্রমাণ করেছেন। PK এবং PJ-র মধ্যে ‘যুদ্ধে’ PJ-ই শেষ হাসি হেসেছিল।
সম্প্রতি নবান্নে গিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রতীক। এরপর দলের কর্মী সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা PK-র আইপ্যাক নয়। ওরা অন্য জায়গায় কাজ করে। প্রশান্ত কিশোর একটা রাজনৈতিক দলও করেছে। এটা একটা নতুন টিম। এদের সাহায্য করতে হবে। দলের নেতাদের নির্দেশ দেন, এদের নামে উল্টোপাল্টা বলা যাবে না। সবাইকে মিলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বস্তুত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেই ইঙ্গিত মিলেছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বাংলার শাসক দল তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চলেছে আইপ্যাক।