আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোট গড়ার ডাক স্ট্যালিনের, পাশে চাইছেন মমতা-সহ অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসকে হাতিয়ার করে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির অধিকার খর্ব করতে পারে বিজেপি, এমন আশঙ্কা করছে দাক্ষিণাত্য রাজনৈতিক দলগুলি। এবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিন। লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে চাইছেন স্ট্যালিন। চিঠি দিয়ে মমতা-সহ সাত মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রের সম্ভাব্য আসন পুনর্বিন্যাস নীতির বিরোধিতায় একজোট হতে আহ্বান জানিয়েছেন স্ট্যালিন।
জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই লোকসভার আসনের পুনর্বিন্যাসে হাত দেবে কেন্দ্র। বিরোধীদের আশঙ্কা, বিজেপি নিজেদের সুবিধামতো আসন পুনর্বিন্যাস করবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে নতুন আসন বণ্টন করা হলে দক্ষিণ ভারত বা বাংলার মতো রাজ্যগুলির তুলনায় গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে আসন সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যাবে। গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বেশি। বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য যেখানে বিজেপি অত্যন্ত শক্তিশালী, আসনসংখ্যা বেশ ভাল সংখ্যায় বাড়ানো হবে বলে মনে করছে বিরোধীরা। বাংলা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরলের মতো রাজ্যেও লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়বে, তবে তুলনায় অনেক কম।
এই আবহে স্ট্যালিন অবিজেপি রাজ্যগুলিকে একত্রিত করতে চাইছেন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস রুখতে স্ট্যালিন, সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তালিকায় আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। এনডিএ জোটভুক্ত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, বিজেপি শাসিত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝিকেও তিনি চিঠি দিয়েছেন। রাজ্যগুলির বিভিন্ন দলের প্রধানদেরও চিঠি দিয়েছেন স্ট্যালিন। কয়েকজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছেন তিনি। স্ট্যালিন চাইছেন, রাজ্যের স্বার্থে সবাই লড়াইয়ে নামুন।
চিঠিতে স্ট্যালিন লিখেছেন, জনগণনা অনুযায়ী আসন পুনর্বিন্যাস করা হলে যে রাজ্য অত্যন্ত সুচারুভাবে জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করেছিল তাদেরই বিপদের মুখে পড়তে হবে। আইনসভাতে প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে। যা রুখতে যৌথ অ্যাকশন কমিটি গড়তে চান তিনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করছেন, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথ অ্যাকশন কমিটিতে যোগ দিন। আগামী ২২ মার্চ চেন্নাইতে তিনি যৌথ অ্যাকশন কমিটির প্রথম বৈঠক ডেকেছেন।